পাকিস্তান, আফগানিস্তান-সহ ৪১টি দেশের উপর আমেরিকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন ট্রাম্প
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকেই একের পর এক চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ৪১টি দেশের নাগরিকদের আমেরিকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছেন তিনি। সূত্রের খবর, এই নিষেধাজ্ঞা মূলত নিরাপত্তা ও বেআইনি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জারি হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি।
তিনটি বিভাগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা
এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলিকে তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে:
১. সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা (১০টি দেশ)
এই তালিকায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য আমেরিকায় প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হতে পারে। তালিকায় রয়েছে:
ইরান
সিরিয়া
কিউবা
উত্তর কোরিয়া
আফগানিস্তান
লিবিয়া
ইয়েমেন
ইরাক
সুদান
ভেনেজুয়েলা
২. আংশিক নিষেধাজ্ঞার তালিকা (৫টি দেশ)
এই দেশগুলির নাগরিকদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। ভ্রমণ, পড়াশোনা বা অভিবাসনের ক্ষেত্রে ভিসা প্রদানের উপর বিধিনিষেধ আসতে পারে। তালিকায় রয়েছে:
দক্ষিণ সুদান
মায়ানমার
এরিট্রিয়া
হাইতি
লাওস
৩. শর্তাধীন নিষেধাজ্ঞার তালিকা (২৬টি দেশ)
এই দেশগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর হবে না, তবে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে আংশিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তালিকায় রয়েছে:
পাকিস্তান
ভুটান
মায়ানমার
নেপাল
কাজাখস্তান
কিরগিজস্তান
উজবেকিস্তান
তাজিকিস্তান
নাইজেরিয়া
কেনিয়া
তানজানিয়া
উগান্ডা
ঘানা
লেবানন
মালি
গিনি
গিনি-বিসাউ
কমোরোস
আঙ্গোলা
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র
বেলিজ
গায়ানা
জ্যামাইকা
সুরিনাম
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ভানুয়াতু
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
মার্কিন প্রশাসনের মতে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বেআইনি অনুপ্রবেশ রোধ করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত নয় এবং পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
নাগরিক অধিকার ও সমালোচনা
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলি এবং বিভিন্ন দেশের প্রশাসন এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। তাঁদের মতে, এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং অভিবাসন নীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান
ট্রাম্প প্রশাসন অবশ্য বলছে, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বেআইনি অভিবাসন এবং সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড রোধ করতে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন।
উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যবসা, শিক্ষা এবং ভ্রমণে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরবর্তীতে হোয়াইট হাউসের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।