Tuesday, May 7, 2024
দেশ

‘হালাল জিহাদ’ বইয়ের প্রকাশ বাতিল করল তেলেঙ্গানা সরকার

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: মানুষকে সচেতন করতে লেখা হয়েছিল ‘হালাল জিহাদ’ নামক বইটি।  বইটি লিখেছেন হিন্দু জন জাগৃতি সমিতির জাতীয় মুখপাত্র শ্রী রমেশ শিন্দে। যিনি ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে হালাল জিহাদের আকারে অর্থনৈতিক সন্ত্রাস সম্পর্কে হিন্দুদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে অগ্রণী ছিলেন। কিন্তু হায়দ্রাবাদ সিটি পুলিশ ‘হালাল জিহাদ’ (তেলেগু সংস্করণ) বইয়ের উদ্বোধন বাতিল করে দিয়েছে।

হিন্দু জনজাগৃতি সমিতি বিবৃতিতে বলেছে, “পুলিশ তেলুগু সংস্করণের জন্য বই প্রকাশ বাতিল করছে। যেখানে একই বই, যা জাতীয় অর্থনীতির হুমকির কথা বলে এবং কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম সম্পর্কে কিছুই বলে না, ইতিমধ্যেই ভারত জুড়ে কোনও বিতর্ক সৃষ্টি না করেই ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি এবং কন্নড় ভাষায় চালু করা হয়েছিল।”

বইটি হালালের অর্থ কী, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক দেশে কেন হালাল অর্থনীতি সমান্তরালভাবে চলছে, কেন হালাল পণ্য ভারতীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে, কীভাবে হালাল জিহাদের বিরোধিতা করা যায় ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের প্রাক্তন মুখ্যসচিব এলভি সুব্রমণ্যম, তেলেঙ্গানার প্রাক্তন ডিজিপি টি কৃষ্ণ প্রসাদ এবং হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির রমেশ শিন্ডে।

বইটির একটি উদ্ধৃতি বলে, “হালাল হল শরিয়া আইনের উপর ভিত্তি করে একটি অর্থনীতি। যা অবশ্যই ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রভাবিত করবে। হালাল সার্টিফিকেট ইস্যু করে এমন সংস্থাগুলির উপার্জনের বিষয়ে ভারত সরকারের গভীরভাবে তদন্ত করা উচিত। যখন ভারত সরকারের নিজস্ব ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (এফএসএসএআই) আছে তখন বেসরকারি সংস্থাগুলির হালাল শংসাপত্র দেওয়ার প্রয়োজন কী?

এতে আরও বলা হয়েছে, “এই বইটি সংকলনের উদ্দেশ্য সমাজের একটি বিশেষ স্তরের ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বা অপমান করা নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ ১০০কোটি হিন্দুদের অধিকারকে সম্মান জানাতে এবং জাতির জন্য সঞ্চিত বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য এটি সংকলিত হয়েছে।”

KCR-এর নেতৃত্বাধীন তেলেঙ্গানা সরকার আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার কারণ দেখিয়ে হালাল জিহাদ বই প্রকাশের অনুমতি বাতিল করেছে। হালাল খাবার বাধ্যতামূলকভাবে তৈরির পুরো প্রক্রিয়ায় মুসলিমদের তাদের ধর্মীয় বিষটি জড়িত। অভিযোগ, এই হালাল হিন্দু ব্যবসায়ীদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। আর হালাল পণ্যই এখন বাজার কাঁপাচ্ছে।

হালাল সার্টিফিকেশন বোর্ডগুলি হল ব্যক্তিগত সংস্থা যাদের জামাত ই ইসলামীর সাথে সম্পর্ক রয়েছে এবং তাদের পণ্যের জন্য হালাল শংসাপত্র পেতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলি থেকে ফি চার্জ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে। এটি এমন একটি ব্যবসা যেখানে ইসলামী সংগঠনগুলোর কোনো বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।

হালাল কী?

ইসলামিক রীতিতে খাওয়ার জন্য কোনও প্রাণী হত্যা করা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে প্রাণীটির গলা কাটা হয় আড়াই প্যাঁচে। এতে প্রাণীটির জাগুলার ভেন, ক্যারোটিড আর্টারি এবং শ্বাসনালী কাটা পড়ে। প্রাণীটিকে হত্যার আগে করা হয় প্রার্থনা। এই কারণে মুসলিমদের কাছে হালাল করা মাংসের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। বিশেষত গোঁড়া মুসলিমরা হালাল করা মাংস ছাড়া খান না।

তথ্যসূত্র: bharatvoice