ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনা নিষিদ্ধ, ফতোয়া জারি তালিবানের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ক্ষমতা দখলের পরে মধ্যযুগীয় বর্বরতা শুরু করে দিল জঙ্গিগোষ্ঠী তালিবান। নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, খুন, নিপীড়ন এখন আফগানিস্তানের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তালিবানের হাত থেকে বাঁচতে আফগান নাগরিকরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। এবার তালিবানরা হেরাট প্রদেশের সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো। এই মর্মে ফতোয়া জারি করেছে তারা।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তালিবান হেরাট প্রদেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিন ঘণ্টা ধরে ওই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে তালিবানের প্রতিনিধি মুল্লাহ ফরিদ জানান, ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনার বিষয়টি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনাই হলো ‘সমাজের সকল খারাপের শিকড়’।
তালিবানের তরফে বলা হয়েছে, ধার্মিক মহিলা অধ্যক্ষরা শুধুমাত্র মেয়েদের পড়াতে পারবেন। ছেলেদের পড়াতে পারবেন না। এই নিষেধাজ্ঞাকে প্রথম ফতোয়া বলে হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে তালিবানরা দেশের সরকারি নিউজ চ্যানেলে মহিলা সংবাদ পাঠিকাদের সংবাদ পাঠের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
১৯৯৬ সালে বর্তমান সময়ের মতো জোরপূর্বক আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল তালিবানরা। ২০০১ সালে আফগানিস্তান থেকে তালিবানকে উৎখাত করে মার্কিন সেনা। প্রথম তালিবান-রাজে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করেছিল তালিবান। একের পর এক ফতোয়া জারি করা হয়েছিল। নারী সুরক্ষা চরম অবনতির দিকে গিয়েছিল। গত ২০ বছরে সেই অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হয়। তালিবান ২.০ রাজে সেই ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে।