প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে ভাঙনের সুর, নেতৃত্ব নিয়েও চলছে টানাপোড়েন
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। বিজেপিকে রুখতে বিরোধী ২৬টি দল মিলে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে। তবে জোট বাঁধতে না বাঁধতেই ভাঙনের সুর ‘ইন্ডিয়া’য়। লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে কংগ্রেস এবং আম-আদমি পার্টির মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। জোটের কয়েকজন নেতা বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ‘ইন্ডিয়া’জোটের নেতৃত্ব নিয়েও চলছে অদৃশ্য টানাপোড়েন।
‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠনের দুই মাস না যেতেই জোটের মধ্যে বাজছে ভাঙনের সুর। দিল্লিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ৭টি আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে কংগ্রেস ও আম-আদমি পার্টির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দু’দলের নেতাকর্মীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন। এই পরিস্থতিতে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর মুম্বাইতে জোট শরিকদের বৈঠকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
এদিকে, প্রশ্ন উঠছে শরদ পাওয়ারের বিশ্বস্ততা নিয়ে। সম্প্রতি তার ঘনিষ্ঠ অজিৎ পাওয়ার যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। গুঞ্জন ছড়িয়েছে অজিতের মাধ্যমে শরদ পাওয়ারও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
জোটের অন্যতম সংগঠক, জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা নীতিশ কুমার সবশেষ বেঙ্গালুরুতে জোটের বৈঠকের পর অনেকটা নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় রয়েছেন। নীতিশকে বাদ দিয়ে কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধীকে ‘ইন্ডিয়া’জোটের ‘চেয়ারপারসন’ করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় ‘ইন্ডিয়া’জোটের চেয়ারপারসন হতে আগ্রহী নন বলে জানালেও, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার দাবি তুলছেন।
নেতৃত্ব কিংবা শরিকদের মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা ক্রমেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে ইন্ডিয়া জোটে। এসব সংকট সামনে রেখে বিজেপিকে হারাতে গঠন করা ‘ইন্ডিয়া’জোট ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।