মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত, শুক্রবার ভোট
নয়াদিল্লি: দেড় দশক পর পার্লামেন্টে আবার গৃহীত হল নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব। বুধবার পার্লামেন্টে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই টিডিপির অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। শুক্রবার এই প্রস্তাবের উপর আলোচনা ও ভোটাভুটি হবে বলে নোটিস দিয়েছেন তিনি।
যদিও এতে সরকার পতনের খুব একটা আশঙ্কা দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে বিজেপির হাতে পর্যাপ্ত সাংসদ সংখ্যা রয়েছে। লোকসভায় ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২। সংসদে এখন বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ২৭৩। এই সংখ্যার জোরেই বাজিমাত করতে পারে বিজেপি। তবুও ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী ও শাসক দল উভয়েরই শক্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই অনাস্থা প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Ahead of the no-confidence motion on Friday, TDP issued a three-line whip to its MPs in Lok Sabha, to be present in Parliament on July 19 and 20
Read @ANI Story | https://t.co/LRKyLcFiHs pic.twitter.com/9xh1kpvya9
— ANI Digital (@ani_digital) 18 July 2018
স্পিকার সুমিত্রা মহাজন জানান, এনসিপি, টিডিপি, কংগ্রেসসহ অনেক দলই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। তবে লটারিতে টিডিপি সাংসদ কাশিনেনি শ্রীনিবাসনের নাম উঠেছে। তার আনা প্রস্তাবের ওপরেই আলোচনা হবে।
অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে নূন্যতম ৫০ জন সাংসদের সম্মতি লাগে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার বলেন, বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি আস্থা নেই। কিন্তু এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই দেশবাসীর পূর্ণ আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপর।’
প্রসঙ্গত, এর আগে শেষবার লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয় ২০০৩ সালে। তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনেন। কিন্তু সেই সময় অনাস্থা ভোটে সরকার পড়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ভোটাভুটিতে সরকার পক্ষের জয় হয়।