Sunday, May 19, 2024
আন্তর্জাতিক

‘বন্ধুত্ব’ থেকে সম্পর্কে অবনতি হতে হতে চিন-পাকিস্তান একে অপরের শত্রু, চিন বিরোধী মনোভাব পাক নাগরিকদের মধ্যে

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: পাকিস্তানের নাগরিকদের মধ্যে চিন বিরোধী মনোভাব স্থানীয় সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থার জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি করাচি শহরে চিনের দ্বারা পরিচালিত ব্যবসা-বাণিজ্য সাময়িকভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে করাচি পুলিশ।

চিন বরাবরই বিপদে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে! বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে একে অপরকে সাহায্য ও সমর্থন করে আসছে তারা। তবে দীর্ঘদিনের এই বন্ধুত্বে ফাটল ধরতে চলেছে।

পাকিস্তানে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মতে, পাকিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হবার কারণে তারা পাকিস্তানে বসবাসরত চিনা নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সেখানকার দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

চিনের দ্বারা পরিচালিত ব্যবসা-বাণিজ্য সাময়িকভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে করাচি পুলিশ। এই ঘটনাকে হতাশাজনক বলা হয়েছে চিনের তরফে। এর আগে বেইজিংয়ের বেশ কয়েকটি অনুরোধ এবং সতর্কতা সত্ত্বেও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সেখানে বসবাসকারী চিনা নাগরিকদের সুরক্ষার ব্যাপারে উদাসীন মনোভাব দেখিয়েছে।

এদিকে পাকিস্তানি নাগরিকদের ধারণা, চিন তাদের বাণিজ্যিক প্রকল্প, খনির কার্যক্রম এবং অন্যান্য আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করার আড়ালে ধীরে ধীরে পাকিস্তানের জমি দখল করছে। পাকিস্তানি জনগণের এমন মনোভাব স্থানীয় সরকার এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলির জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। অনেকেই বলছেন, পাকিস্তান চিনা স্বার্থ রক্ষার জন্য অন্য একটি সামরিক ইউনিটকে অর্থায়ন করতে পারে না।

পাকিস্তানে বসবাসকারী চিনা নাগরিকদের উপর বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং তাদের সুরক্ষার জন্য কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এধরনের ঘটনা চিনা কোম্পানি এবং শি জিনপিং সরকারকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যার ফলে পাকিস্তানে চিনা বিনিয়োগ প্রভাবিত হচ্ছে এবং দু’দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।