Sunday, April 28, 2024
আন্তর্জাতিক

বিশ্বের পাঁচ নতুন ‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশের’ তালিকায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশে এখন আর গণতন্ত্রের নূন্যতম মানদ মানা হচ্ছে না। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত করা এক গবেষণায় এমন পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘নির্বাচনের মানে অবনতি ঘটায়, এক সময়ের ৫ম বৃহৎ গণতন্ত্রের এ দেশটি ফের স্বৈরতন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’ গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও সুসাশনের মান এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন। এমন অবনতির সিংহভাগ হচ্ছে উন্মুক্ত সমাজগুলোতে যেখানে সরকারগুলো ক্রমশই স্বেচ্ছাচারী শাসন চালাচ্ছে। খবর বিবিসির।

জার্মান থিঙ্কট্যাঙ্ক বারটেলসম্যান স্টিফটাং-এর গবেষণায় এসব কথা বলা হয়েছে। এতে, নতুন স্বৈরতন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত অপর দেশগুলো হলো লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডা। ‘এই পাঁচটি দেশ ওই সীমা অতিক্রম করেছে যার দিকে এগোচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের ৬টি দেশ- হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, মলডোভা, নাইজার, ফিলিপাইন ও তুরস্ক। অবশ্য এ ৬টি দেশের নিম্নগামী হওয়ার মাত্রায় তারতম্য রয়েছে।’

রিপোর্টে ১২৯ টি দেশের মধ্যে ৫৮ টি দেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং ৭১ টি দেশকে গণতান্ত্রিক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ২০১৬ সালে তাদের আগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিশ্বের ৭৪টি দেশে গণতান্ত্রিক এবং ৫৫টি দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে।

একশো উনত্রিশটি দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে যে সূচক এই সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান ৮০ নম্বরে। একই অবস্থানে আছে রাশিয়া। উরুগুয়ে, এস্তোনিয়া এবং তাইওয়ান আছে এই সূচকের শীর্ষে। আর একেবারে তলায় রয়েছে সোমালিয়া, ইয়েমেন এবং সিরিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান অবশ্য বাংলাদেশের নীচে – ৯৮ নম্বরে। মিয়ানমারের অবস্থান ১০৪ নম্বরে। অন্যদিকে ভারত আছে বেশ উপরের দিকে – ২৪ নম্বরে। শ্রীলংকার অবস্থান ৪১ নম্বরে।