‘আমি লিখতে পারি না স্যার, শুধু নাম সই করতে পারি’, ইডিকে বললেন অনুব্রত
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: কৃষক পরিবারে জন্ম। লেখাপড়া করেছেন অষ্টম শ্রেণি অবধি। তারপরই রোজগারের আশায় কখনও মুদি দোকানে কাজ করেছেন, কখনও গ্রিলের দোকানে, কখনও মাছের ব্যবসা। তাই লেখালেখির জন্য খাতা কলম অতটা আর ধরা হয়নি। এরপর লাইমলাইটে আসার পরে দরকার পড়েছে শুধুমাত্র বিভিন্ন ব্যাঙ্কের চেকে সইসাবুত করতেই! বলছি অনুব্রত মন্ডলের কথা।
বর্তমানে দিল্লির ইডি হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মন্ডল। তাকে দফায় দফায় জেরা করে চলেছেন ইডি আধিকারিকরা। নিয়ম অনুযায়ী ইডি বয়ান রেকর্ড করে ৫০ পিএমএলএ অ্যাক্ট অনুযায়ী। এই আইনে বলা আছে, অভিযুক্তকে কিংবা সাক্ষীকে নিজেকেই নিজের বয়ান লিখতে হয় অফিসারের সামনে। তবে অনুব্রত মন্ডল জানান, ‘আমি লিখতে পারি না। শুধুমাত্র নাম সই করতে পারি’
অনুব্রত এ কথা জানানোর পরে সিনিয়র অফিসারের নির্দেশে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (sop) মেনে একজন নিরপেক্ষ সাক্ষীকে নিয়ে আসা হয়। যিনি জেরা পর্বে অনুব্রতর দেওয়া উত্তর লিখছেন। জানা গেছে, অনুব্রত দিল্লি থাকাকালীন তার বয়ান লিখে দেবেন ওই নিরপেক্ষ সাক্ষী।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, পুরো বয়ান প্রক্রিয়ারই ভিডিও করা হয়। ওই সাক্ষী অনুব্রতর বয়ান লেখার পরে তা আবার পড়ে শোনান। তারপরে অনুব্রত মন্ডল সেটাতে সই করেন।
পিএমএলএ আইন অনুযায়ী, ইডির কাছে দেওয়া বয়ান আদালতে গ্রহণযোগ্য। অর্থাৎ আদালতে বিচারকের সামনে এই বয়ান জবানবন্দির সমান।