Tuesday, May 7, 2024
দেশ

‘শর্ত’ পূরণ করলেই আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচার করব : কেজরিওয়াল

নয়াদিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি বিধানসভায় আজ একটি অভাবনীয় প্রতিশ্রুতি দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, দিল্লিকে যদি ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় তাহলে, তাঁর আম আদমি পার্টি (আপ) ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির হয়ে প্রচার করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তিনি।

দিল্লির বিধানসভা থেকে কেজরিওয়াল বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হয়ে প্রচার চালাবেন তিনি। তবে শর্ত রয়েছে একটাই, দিল্লিকে ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তাহলেই দিল্লির প্রতিটি ভোট বিজেপির পক্ষেই যাবে। তবে, যদি এটা না করা হয়। তাহলে দিল্লি থেকে ‘বিজেপি হঠাও’ স্লোগান উঠবে। এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।

মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় দিল্লিকে স্বতন্ত্র করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোথায় গেল সেই প্রতিশ্রুতি?’ শুধু দিল্লিবাসীর কাছেই নয়। দিল্লির সাধারণ মানুষের কাছেও এই বার্তা নিয়ে আন্দোলন করার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। ভবিষ্যতে রাজ্যের উন্নয়ন এবং নিজেদের অধিকার যাতে সরাসরি প্রতিষ্ঠিত করাতে, ‘স্বতন্ত্র’ দিল্লির দাবিতে সরব হলেন তিনি।

এই মুহূর্তে দিল্লি আংশিক রাজ্যের মর্যাদা পেয়ে থাকে। ভূমি, আইনশৃঙ্খলা, পুলিশ এই সমস্ত কিছু এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। দিল্লিতে কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল। ক্ষমতায় আসার একদম প্রথম দিন থেকেই আম আদমি পার্টি সরকার এটির তীব্র বিরোধিতা করে আসছে।

রবিবার দলের নেতাদের নিজের বাসভবনে ডেকে কেজরিওয়াল বলেন, ‘‌এল–জি দিল্লি ছোড়ো প্রচার করতে। অর্থাৎ লেফটন্যান্ট জেনারেল দিল্লি ছাড়ো। মহাত্মা গান্ধী যেভাবে ব্রিটিশদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ইংরেজ ভারত ছাড়ো। তেমনি এই প্রচার অভিযান। দেশ থেকে বড়লাটদের সরানোর জন্য আন্দোলন করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। বড়লাটদের জায়গায় নিয়োগ হয়েছে এই লেফটন্যান্ট জেনারেলদের। যাঁরা প্রতিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ান। তাই তাঁদেরও সরানো প্রয়োজন।’‌

দিল্লিকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে প্রথম পর্যায়ে আম আদমি পার্টির নেতা, বিধায়ক ও কর্মীরা ১৭ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত রাজধানীর ৩০০টি জায়গায় বিক্ষোভ দেখাবার কর্মসূচী নিয়েছে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে আপ নেতাদের নিয়ে একটি সম্মেলন করা হবে ১ জুলাই। ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী কর্মসূচী বলে জানা গিয়েছে।