Sunday, May 5, 2024
দেশ

‘আইন তৈরির অধিকার নেই সুপ্রিম কোর্টের’

নয়াদিল্লি: তিন তালাক ইস্যুতে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) সদস্য মৌলানা আতাউর রহমান রশদি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কাজ হল, আইনের গণ্ডির মধ্যে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া। আইন তৈরি করার অধিকার সুপ্রিম কোর্টের নেই। বোর্ডের অন্য সদস্যরা বলেন, কারও ন্যূনতম অধিকার কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত মানা যায় না। শরিয়ত আইনে সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ভুল।

প্রসঙ্গত, সম্পতি তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি কেন্দ্রকে ৬ মাসের মধ্যে এনিয়ে বিল তৈরির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই ২৮ ডিসেম্বর সংসদে পেশ হয় ‘তিন তালাক’ বিল। যার পোশাকি নাম মুসলিম মহিলা (বিবাহের অধিকার রক্ষা) বিল, ২০১৭। লোকসভায় পাশও হয় বিল।

বিলে বলা হয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক ‘তিন তালাক’ দেওয়া অপরাধ বলে গণ্য করার প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া মৌখিক, লিখিত বা ইমেল, এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ঘোষিত একতরফা ‘তিন তালাক’ প্রথাকে বেআইনি বলা হয়েছে। পাশাপাশি তিন তালাক ঘোষণা করার জন্য পুরুষদের তিন বছরের সাজার কথা বলা হয়েছে।

তবে ‘তিন তালাক’ বিলের বিরোধিতা করে হায়দরাবাদের এঅাইএমঅাইএম সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বলেন, ”তিন তালাক বিল স্বাধীনতার অধিকার অমান্য করে। এই বিলের জন্য মুসলিমদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি।”

অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ডের হয়ে আদালতে প্রশ্ন করতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন ‘যে প্রথা দীর্ঘ ১৪০০ বছর ধরে চলছে তাকে একদিনে ইসলাম বিরোধী বলা যায় না, কারণ তিন তালাক একটি বিশ্বাসের ব্যাপার।

সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট কোনো আইন করেননি বরং তারা একটি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনজন বিচারপতি বলেছেন, তিন তালাক নস্যাৎ। কিন্তু তিন তালাক নবীর আমলে ছিল, খেলাফতের জামানায় ছিল, সাবাদের জামানায়ও ছিল। ১৪০০ বছর ধরেই আছে। কোরান ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। সেই কথা বিচারপতিরা এড়িয়ে গেলেন। কে বলল, নেই। এটা ঠিক কথা নয়।