Wednesday, May 8, 2024
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা, আহত ৭

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে ভোট দেয়ায় এনায়েতপুরে খামারগ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন।

হামলায় ঈগলের সমর্থক ভাঙ্গাবাড়ির সুভাস সরকারের ছেলে লংকেশ সরকার (২০) ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী চায়ের দোকানদার বৃদ্ধ মোতালেব হোসেন (৬০), এনায়েতপুর থানার এলোঙ্গী চরের বাচ্চু মিয়া (৪০), ইউপি সদস্য সহ ৭ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১ জনের অবস্থা গুরুতর। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার হিন্দু পরিবারসহ এলাকাবাসী। 

নির্যাতীতরা জানান, রোববার ৭ জানুয়ারী খামারগ্রামের মধ্য ও পূর্ব জেলেপাড়াসহ ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামের সংখ্যালঘু অধিকাংশ হিন্দুরা স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ বিশ্বাসের ঈগল প্রতীকে ভোট দেয় ও পুর্ব হতেও সমর্থক ছিল তারা। রাতে ভোট গণনা শেষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কয়েক নৌকা প্রার্থী মমিন মণ্ডল জয়লাভ করেন। এরপরই তার কর্মী সমর্থকরা খামারগ্রামের বিমল দাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির টিনের নিরাপত্তা প্রাচীর ভাংচুর, ঘরে ঢুকে তনছন ও লুটপাট চালায়। 

একইভাবে খামারগ্রাম পুর্ব পাড়ার হলদার পাড়ার বিজয় হলদার বাড়ির টিনের প্রাচীর ভাংচুর ও ভাঙ্গাবাড়িতে ২ জনকে মারধর ও দোকান বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক হামলার শিকার বিমল দাস অভিযোগ করে বলেন, রোববার রাত ১১টার দিকে নৌকার বিজয় মিছিল থেকে এমপি মমিন মণ্ডলের লোকজন ভাংচুর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন আমরা ভয়ে বাড়ির পেছন দিক দিয়ে পালিয়ে যাই। একপর্যায়ে তারা ঘরে ঢুকে আলমারী খুলে আড়াই লাখ টাকা ও সাড়ে ৬ ভরি স্বর্নালংকার লুট ও বাড়ির মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে। 

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন করা কি আমাদের রাষ্ট্রিয় অধিকার নেই। এতো অত্যাচার হলে থাকবো কিভাবে। দায়ীদের দ্রুত আটক করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

ভাঙ্গাবাড়ি সীমান্ত মার্কেটের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ মোতালেব হোসেন (৬০)কে মারধর, চায়ের দোকান ও বাড়ি ভাংচুর, বেতিলে আব্দুল্লাহ মণ্ডলের সিমেন্টের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া ঈগলের সমর্থক খামারগ্রামের প্রবীন সমাজ সেবক হাজী আব্দুল কৃদ্দুস সরকার (৭৩), খামারগ্রামের ইউপি সদস্য পঙ্কজ চন্দ্র (৪৫), এনায়েতপুর থানার এলোঙ্গী চরের বাচ্চু মিয়া (৪০), দেওয়ান তলার খোশাল মন্ডলের ছেলে মামুন হোসেন (২০), চঁাদপুর চরের আমজাদ আলী (৪৫)কে মারধর করেছে নৌকার সমর্থকরা।

এদিকে, ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ায় বেলকুচি থানার দৌলতপুরের আটার দাগে ইউনিয়ন স্বেচাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তাঁতী শামীম হোসেনকে তার মুদিখানার দোকান হতে বের করে মারধর করেছে বিজয়ী নৌকার সমর্থক উজ্জল হোসেন।