Saturday, April 27, 2024
দেশ

আরুশি হত্যাকাণ্ডে বেকসুর খালাস পেলেন বাবা-মা

নয়াদিল্লি শহরতলির নয়ডা এলাকার ১৪ বছরের কিশোরী আরুশি তালওয়ার ও গৃহপরিচারক হেমরাজ হত্যা মামলায় আরুশির মা-বাবাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে এলাহাবাদের হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার এলাহাবাদের হাইকোর্ট এ চূড়ান্ত রায় দেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতেই কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।

এর আগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে আরুশি তালওয়ার এবং হেমরাজ হত্যা মামলায় দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য ও দীর্ঘ শুনানির শেষে সিবিআই আদালত তালওয়ার দম্পতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে আইনজীবীরা তালওয়ার দম্পতির বিরুদ্ধে কোনো ফরেনসিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চিকিৎসক দম্পতি।

আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, তালওয়ার দম্পতি দোষী নন। তারা আরুশি এবং হেমরাজকে খুন করেননি।

২০০৮ সালের ১৬ মে দিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডার অভিজাত এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রথমে আরুশির গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সন্দেহের তির যায় ওই বাড়ির নেপালি গৃহপরিচারক হেমরাজ বানজাদের দিকে। কারণ, তখন হেমরাজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিনই হেমরাজের মরদেহ পাওয়া যায় ওই ফ্ল্যাটের ছাদের ওপর।

আরুশি

গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) তদন্তে জানা যায়, আরুশি ও হেমরাজ দুজনকেই হত্যা করেছেন আরুশিরই মা-বাবা। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গৃহপরিচারকের সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় আরুশিকে দেখে ক্ষুব্ধ দন্তচিকিৎসক দম্পতি রাজেশ তালওয়ার ও নূপুর তালওয়ার নিজেদের সম্মান বাঁচাতে তাঁকে হত্যা করেন। তবে তালওয়ার দম্পতি পুলিশের অযোগ্যতা ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাকে দায়ী করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

এই জোড়া হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সংবাদমাধ্যমে যে পরিমাণ নিউজপ্রিন্ট আর এয়ারটাইম খরচ হয়েছে তার নজির বিরল।

অন্তত দুটি বলিউড সিনেমাও তৈরি হয়েছে এই হত্যাকান্ডের কাহিনীকে কেন্দ্র করে। অনুসন্ধানী সাংবাদিক অভিরুক সেন এই ঘটনা নিয়ে একটি বই-ও লিখেছেন।

তবে আজকের রায়ের পরেও আরুশি-হেমরাজের হত্যাকারী কারা, তার উত্তর কিন্তু আদৌ মিলল না এবং এই জোড়া হত্যাকান্ডের পুরো ঘটনাপরম্পরা কী ছিল, সেটাও স্পষ্ট হল না।