Tuesday, May 7, 2024
কলকাতা

বাংলায় পড়ার সুযোগ নেই, তাই বাধ্য হয়েই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ছেন পড়ুয়ারা

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: অধ্যাপকরা লেকচার দেন ইংরেজিতে। বইপত্র, নোটস সবকিছুই ইংরেজিতে। এমনকি পরীক্ষার খাতায় লিখতেও হয় ইংরেজিতেই। তাই বাংলা মাধ্যম থেকে পড়ে আসা পড়ুয়াদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হচ্ছে তাদের, এমনটাই খবর।

জানা যায়, কোচবিহারের জাহাঙ্গির আলম মিঞা ৯৪.৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তার বাবা একজন কৃষক। অনেক স্বপ্ন নিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছিল জাহাঙ্গির। কিন্তু ছ’মাস কাটতে না করতেই বাড়ি ফিরতে হলো তাকে। কারণ প্রেসিডেন্সিতে বাংলায় ক্লাস হয় না। লেকচার, নোটস, পরীক্ষার উত্তরপত্র – সবকিছু ইংরেজিতে।

জাহিদ কবীর ২০২১ সালে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু সেমিস্টার পরীক্ষা ইংরেজিতে দিতে পারেননি। তাই এক বছর পরেই তাকে ছেড়ে দিতে হয় তাকে। সে জলপাইগুড়ির একটি বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।

জাহাঙ্গির, কবীরের মতো আরও অনেকে ইংরেজির কারণে প্রেসিডেন্সি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এই চিত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। মুর্শিদাবাদের আলি হোসেন ২০২১ সালে যাদবপুরের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু লেকচার এবং নোটস ইংরেজিতে হওয়ায় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল তার। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। বর্তমানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করছেন। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নোটস ইংরেজি এবং বাংলা দুই ভাষাতেই পাওয়া যায়।

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এসএফআইয়ের তরফে। তাদের দাবি, পরীক্ষায় উত্তর লেখার সময় ইংরেজি ছাড়াও পড়ুয়াদের মাতৃভাষায় বিশেষত বাংলায় লিখতে দেওয়া হোক।