রাজনৈতিক পালাবদলের পর মুখোমুখি বৈঠকে মোদী-ইউনূস
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝে সাক্ষাৎ নরেন্দ্র মোদীর সাথে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের। বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকেই মুখোমুখি হলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সম্প্রতি চিনে গিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে করা ইউনূসের মন্তব্যে বিতর্ক চড়েছিল দেশের অন্দরে। সেই আবহেই শুক্রবার ব্যাংককে সম্মেলনের মাঝে ইউনুসের সঙ্গে পার্শ্ব বৈঠক সারলেন মোদী।
ঢাকার তরফে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তাব আগেই পৌঁছেছিল দিল্লিতে। তখন সংসদীয় বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছিলেন বিষয়টি ভারত সরকার বিবেচনা করে দেখছে। জল্পনা চললেও আগে থেকে এই বৈঠকের কথা জানা যায়নি। তবে ব্যাংকক সফরে গিয়ে দুই নেতাকে নৈশভোজ সারতেও দেখা গিয়েছে। আর সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার মুখোমুখি হলেন তাঁরা।
হাসিনা সরকারের পতন, ভারতে তাঁর আশ্রয় ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছিল ভারত। তার মধ্যে দিনেকয়েক আগে চিন সফরে গিয়ে বলা ইউনূসের একটি মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। যেখানে ইউনূস বলেছেন “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়। ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” এই মন্তব্যের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও বিদেশীমন্ত্রী জয়সঙ্কর পাল্টা কড়া বার্তা দিয়েছেন।
জয়শঙ্কর দাবি করেন, “সর্বোপরি, আমাদের বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে, যা প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার।” “বিশেষ করে আমাদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বিমসটেকের জন্য একটি ‘সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে’ আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে সড়ক, রেলপথ, জলপথ, গ্রিড এবং পাইপলাইনের অসংখ্য নেটওয়ার্ক রয়েছে।”
এর পাশাপাশি ভারত বিরোধী পাকিস্তানের সাথে সখ্যতা বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ। একাধিক কুটনৈতিক সিদ্ধান্তও নিয়েছিল ইউনূস সরকার। এই উত্তপ্ত আবহে ঠিক কি আলোচনা হয় সেদিকেই চোখ বিভিন্ন মহলের।

বর্ষা দাস গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় পিজি ডিপ্লোমা করেছেন। অবসর সময়ে ঘুরতে, লেখালেখি করতে ভালোবাসেন।