মুসলিম কিংবা খ্রিস্টান নয়, বামপন্থী ও উদারপন্থীরাই হিন্দুদের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ: হিমন্ত বিশ্বশর্মা
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) এক অনুষ্ঠানে বলেন, হিন্দুদের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ মুসলিম বা খ্রিস্টানরা নয়, বরং বামপন্থী ও উদারপন্থী (লিবারেল) গোষ্ঠী। হিন্দুদের দুর্বল করার ষড়যন্ত্র বামপন্থী ও উদারপন্থীই করছে।
বাম ও লিবারেলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
কলকাতায় এক বেসরকারি সংস্থার আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হিমন্ত বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, বামপন্থী ও উদারপন্থীরাই হিন্দুদের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ।”
তার মতে, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের দুর্বল করার যে প্রবণতা দেখা গেছে, তার শিকড় আসলে বামপন্থী ও উদারনৈতিক মতাদর্শের মধ্যে রয়েছে। “পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম ও লিবারেলদের কাছ থেকে হিন্দুদের দুর্বল করার প্রবণতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন।”
ভারতের সভ্যতা ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ
ভারতের হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “ভারতের সভ্যতা ৫,০০০ বছরের পুরনো। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার মাধ্যমে এটি শুরু হয়নি।” তিনি আরও বলেন, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, যেখানে বহুত্ববাদ ও সহিষ্ণুতা স্বাভাবিকভাবেই চলে আসছে।
তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে বলেন, “যদি তারা মনে করেন হিন্দুরা অস্তিত্ব হারাবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছেন। হিন্দুরা চিরকাল থাকবে।”
আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু জনসংখ্যা কমছে
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেন যে আসামে হিন্দু জনসংখ্যার হার ৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে এবং পশ্চিমবঙ্গে এটি প্রায় ৬৫ শতাংশের আশেপাশে থাকতে পারে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন যে হিন্দু সভ্যতা চিরকাল টিকে থাকবে এবং সমৃদ্ধ হবে।
মোদী সরকারের প্রশংসা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত যে প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি করছে, সে কথাও তুলে ধরেন হিমন্ত। তিনি বলেন, “মোদীর নেতৃত্বে ভারত অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।”
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “৫০০ বছর পর রাম মন্দির নির্মিত হয়েছে। এখন সময় এসেছে ওয়াকফ আইন পরিবর্তনের।”
তিনি আরও বলেন যে তিন তালাক ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে। শ্রীঘ্রই দেশজুড়ে ইউনিফর্ম সিভিল কোড (UCC) বাস্তবায়ন করা হবে।