Saturday, May 24, 2025
FEATUREDদেশ

মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জঙ্গিরা বললো, ‘তোমার স্বামীকে মেরেছি। তুমি এখন গিয়ে মোদীকে বলো’, জানালেন মৃত মঞ্জুনাথের স্ত্রী পল্লবী

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে ওঠেন পল্লবী। ভেলপুরি খেতে খেতে যার সঙ্গে গল্প করছিলেন, হঠাৎ এক দল জঙ্গি এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে সবকিছু শেষ করে দিল। পল্লবী বলেন, জঙ্গিরা এসে নাম, ধর্মীয় পরিচয় জেনে বেছে বেছে অমুসলিমদের হত্যা করে। জঙ্গিরা আমার স্বামী মঞ্জুনাথকে গুলি করে হত্যা করে। আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে পল্লবী বলেছিলেন, “আমাকেও মারো।” জঙ্গিরা উত্তর দেয়, “তোমাকে মারব না। তোমার স্বামীকে মেরেছি। যাও গিয়ে মোদীকে বলো।”

ভয়াবহ এই হামলার একাধিক ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কান্না, আর্তনাদ — যেকোনও বিবেকবান মানুষকে স্তম্ভিত করতে বাধ্য।

ধর্মীয় পরিচয় দেখে নিশানা

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলায় ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে টার্গেট করা হয়েছে। হামলাকারীরা সেনার পোশাক পরে এসেছিল, ফলে অনেকেই প্রথমে বুঝতেই পারেননি কী আসন্ন বিপদ তাঁদের দিকে এগিয়ে আসছে।

কমপক্ষে ২৮ জনের মৃত্যু

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃত্যুসংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

৪০ রাউন্ড গুলি চালায় 

স্থানীয় সূত্রে খবর, হামলাকারীরা মোট ৪০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। বিশেষ করে ট্রেকিং ও ভ্রমণে বেরিয়ে পড়া পর্যটকদেরই নিশানা বানানো হয়েছে। একটি রিসর্টে ঢুকে তাণ্ডব চালায় তারা।

পরিস্থিতি নজরে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী

সৌদি আরব সফররত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খবর পেয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কাশ্মীর যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শাহ শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

হামলার দায় স্বীকার লস্কর-ই-তৈয়বার

এই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)। জানা যাচ্ছে, সংগঠনটি স্থানীয় যুবকদের ব্রেনওয়াশ করে এই ধরনের আক্রমণে ব্যবহার করছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা পুলওয়ামার পর ভারতের ভূখণ্ডে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার অন্যতম।

গোটা দেশ শোকস্তব্ধ, উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া

ঘটনার ভয়াবহতায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলেছে সমবেদনা জানাচ্ছেন সকলে। কেন্দ্রীয় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। গোটা পরিস্থিতির তদন্তে নেমেছে সেনা, এনআইএ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।