ধুমধাম মুকুলের শ্রাদ্ধ, গঙ্গা জল দিয়ে শুদ্ধিকরণ রাজ্য বিজেপির সদর দফতর
কলকাতা: সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। এর পরে তাকে তীব্র আক্রমণ করেছে গেরুয়া শিবির। মুকুল রায়কে গদ্দার এমনকি ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী ‘মীরজাফর’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এবার কলকাতার মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য সফর দফতরের সামনে বিজেপির নেতা আর কর্মীদের উদ্যোগে মুকুলের শ্রাদ্ধ সম্পন্ন হল।
জানা যায়, মঙ্গলবার মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি রাজ্য সদর দফতরের সামনে মুকুল রায়ের ছবি রেখে শ্রাদ্ধ করেন যুব মোর্চার কর্মীরা। গঙ্গাজল দিয়ে অফিস ধুয়ে করা হয় শুদ্ধিকরণ। এর আগে আমরা কুশপুত্তলিকা দাহ, নকল শবযাত্রা বার করা, মস্তক মুণ্ডন করা, ছবিতে জুতোর মালা পরানোর মতো ঘটনা দেখেছি। কিন্তু তাই বলে একজন জীবিত মানুষের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান!
ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার কর্মীদের দাবি, মুকুল রায়ের কোনও অস্তিত্ব আর নেই তাদের কাছে। তাই মুকুল রায়ের ছবি রেখে মন্ত্রোচ্চারণ করে পারলৌকিক ক্রিয়া করলেন তারা। রীতিমতো ফুল, মালা, ধূপ, গঙ্গা জল দিয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে গেরুয়া শিবির। যুব মোর্চার এক কর্মী বলেন, মুকুল রায় মিরজাফর। ওকে বিজেপিতে নিয়ে সম্মান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনি পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন। আমাদের কাছে উনি মৃত। তাই উনার আত্মার শান্তি কামনায় শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হলো।
উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের দলত্যাগের দিনই তাঁর শ্রাদ্ধ করে মাথা মুড়ানোর ঘোষণা বলে দিয়েছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। যদিও পরে সৌমিত্র খাঁ জানান, বাবা-মা জীবিত। তাই বাবা মাথা মুড়াতে করতে বারণ করেছেন। তবে বিজেপির প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশ করতে সৌমিত্রর নির্দেশেই এদিন মুকুলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, সৌমিত্র খাঁ একদা মুকুলের অনুগত অনুগামী ছিলেন। সৌমিত্র মুকুলের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদানের পর তার প্রতি সৌমিত্রর যে আর আনুগত্য নেই সেটাই সামনে এল এই ঘটনায়।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।

