Saturday, July 27, 2024
দেশ

‘জরুরি কাগজ যাতে পাকিস্তানের হাতে না যায় তাই গিলে ফেলেন অভিনন্দন’

ইসলামাবাদ: শুক্রবারই উইং কম্যান্ডার পাইলট অভিনন্দনকে ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান। তবে তার আগেই অভিনন্দনের বীরত্বে মুগ্ধ পাক মিডিয়াও। যুদ্ধবিমান ভেঙে মাটিতে আছড়ে পড়ার পরমুহূর্ত থেকে যে ভাবে পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাদের চোখে চোখ রেখে নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন তার জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছে সে দেশেও।

বিমানটি যেদিকে বিধ্বস্ত হয় তার উল্টো দিকে নামেন অভিনন্দন। পরে তিনি দ্রুত একটি পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি কিছু জরুরি কাগজ গিলে ফেলার ও কিছু কাগজ জলে ভিজিয়ে নষ্ট করে ফেলেন। যাতে তা পাকিস্তানের হাতে না পৌঁছয়। প্যারাসুটে নামার সময় নিরাপদ ও সুস্থ ছিলেন তিনি। এ সময় অভিনন্দনকে ধরার জন্য স্থানীয় তরুণেরা ছুটে যান।

তিনি তরুণদের ওই জায়গাটি ভারত না পাকিস্তান তা প্রশ্ন করেন। একজন বলেন, এটা ভারত। তখন অভিনন্দন ভারতের পক্ষে স্লোগান দেন। তবে কয়েকজন তরুণ উল্টো স্লোগান দেন। তরুণরা অভিনন্দনের স্লোগান সহ্য করতে পারেননি। ক্ষেপে গিয়ে তাঁকে পাথর ছুড়ে আক্রমণ করে উন্মত্ত জনতা। অভিনন্দন তখন পিস্তল বের করেন। তখন ওই তরুণেরা পাথর হাতে তুলে নেন। অভিনন্দন দৌড়ে প্রায় আধা কিলোমিটার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে যে তরুণেরা তাড়া করছিলেন, তাঁদের দিকে পিস্তল তাক করে শূন্যে গুলি ছোড়েন অভিনন্দন। পরে তিনি পুকুরে ঝাঁপ দেন। তরুণেরা তাঁকে অস্ত্র ফেলে দিতে বলেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এ সময় এক তরুণ তাঁর পায়ে আঘাত করেন।

পরে অভিনন্দন তাঁকে মেরে না ফেলার আহ্বান জানান। কয়েক তরুণ তাঁর দুই হাত ধরে ফেলেন। কয়েকজন তাঁর ওপর চড়াও হন। কয়েকজন তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পাকিস্তানের সেনারা চলে আসে এবং তাদের হেফাজতে নেয়। পরে তাঁকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে তুলে ভিমবার এলাকায় সেনা স্থাপনায় নেওয়া হয়।