Friday, April 26, 2024
দেশ

কে হবেন নতুন রাষ্ট্রপতি, রামনাথ কোবিন্দ নাকি মীরা কুমার?

কে হবেন ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি? সোমবারে সকাল ১০টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং ভোট গ্রহণ চলে  বিকাল ৫টা পর্যন্ত। চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোট ৭৭৬ জন সাংসদ এবং ৪,১২০ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনের ভোট গণনা করা হবে ২০ জুলাই। ২৫ জুলাই শপথ বাক্য পাঠ করবেন নতুন রাষ্ট্রপতি।

এ লড়াই এ একদিকে আছে মোদী সমর্থিত রামনাথ কোবিন্দ অন্য দিকে বিরোধীদের প্রার্থী মীরা কুমার। রামনাথ কোবিন্দ এর আগে বিহারের রাজ্যপাল ছিলেন। এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ’র প্রার্থী মীরা কুমার এর আগে কংগ্রেস শাসনামলে লোকসভার স্পিকার ছিলেন। ইতিমধ্যেই এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ এবং বিরোধীদের প্রার্থী মীরা কুমারকে নিয়ে রাজনীতির অন্দরমহলে উত্তাপ চড়তে শুরু হয়েছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের লড়াইয়ে রামনাথ কোবিন্দ এগিয়ে রয়েছেন। কমপক্ষে ৪০টি দলের সমর্থন রয়েছে বিধায় রামনাথ কোবিন্দকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । যাদের অনেকগুলো এনডিএ-এর শরিক ও নয় । এছাড়াও ওডিশা, তেলাঙ্গানা  তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী সহ  বিজেপি এবং এনডিএ-র সাংসদ বিধায়কদের পাশপাশি নীতিশ কুমারও কোবিন্দকে সমর্থন করবেন বলে জানা গেছে। তাই রায়সিনা হিলস এর দখল যে কোবিন্দই করবেন, সে বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত মোদী সরকার । বিহারের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বিশিষ্ট আইনজীবী রামনাথ কোবিন্দকে এবার নিয়ে আসা হয়েছে রায়সিনা হিলস দখলের লড়াইয়ে । কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বিরোধীদের প্রার্থী মীরা কুমারের লড়াইকে ক্ষুদ্র মানসিকতা, বিভেদকামী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে মন্তব্য করেন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সবাইকে একত্রিত হয়ে লড়াই করার কথা বলেন তিনি। এটাকে তিনি বহুত্ববাদ, একতা ও সহিষ্ণুতা বাঁচিয়ে রাখার লড়াই  হিসেবে ঘোষনা দেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজেন্দ্র প্রসাদই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পরপর দুবার ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন। নীলম সঞ্জীব রেড্ডি  ১৯৭৭ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হন। কারণ, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর জন্যে আবেদনকৃত মোট ৩৭জনের মধ্যে ৩৬জনের আবেদনপত্র বাতিল হয়েছিল।