Tuesday, April 23, 2024
দেশ

আমরা এখন ১৯ রাজ্যে, ইন্দিরারও তা ছিল না: মোদী

নয়াদিল্লি: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতের ১৯টি রাজ্য এখন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দখলে- এই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, একটি বড় গর্বের বিষয়, ইন্দিরা গান্ধীর সময় কংগ্রেসের দখলেও এতগুলো রাজ্য ছিল না। এদিন গুজরাট ও হিমাচলে দলের জয়ের পর বিজয়ী বিজেপির বিধায়কেরা প্রথমবারের মতো যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি ভীষণ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

বিজয়ী বিজেপির বিধায়কদের অভিনন্দিত করে তিনি বলেন, এই বিজয় অনেক বড় অর্জন। আমরা এখন ১৯টি রাজ্যের শাসনে, যেখানে ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে কংগ্রেস ১৮টি শাসন করতে পেরেছিল।

সভায় বিজেপির সাফল্যযাত্রার স্মৃতিও রোমন্থন করেন মোদী বলেন, ১৯৮৪ সালে ভারতের লোকসভায় বিজেপির আসন ছিল মাত্র দুটি। আর এখন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সেই বিজেপিই কেন্দ্রে ক্ষমতায়। এই সময় সামনে থাকা টানা কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৯-এর জাতীয় নির্বাচন মাথায় রেখে দলের নেতাদের এখনই আত্মতুষ্টিতে না ভুগতে সতর্ক করে দেন তিনি।

টানা ৬ বার গুজরাটের ক্ষমতায় আসা ও কংগ্রেসের কাছ থেকে হিমাচলের শাসনভারও কেড়ে নেওয়ার ফলে বিজেপি শাসিত রাজ্যের সংখ্যা দাঁড়াল এখন ১৯। এর মধ্যে এককভাবে ক্ষমতার বাইরে পাঁচটি রাজ্য বিজেপি জোট গঠন করে শাসনে করছে।

গুজরাটে বিজেপি ১৮২টি আসনের মধ্যে ৯৯টিতে বিজয় লাভ করেছে। মোদী ও অমিত শাহর নিজের রাজ্য হওয়ার পরও ‘ম্যাজিক’ ১০০ পেরোতে না পারা অনেকের মধ্যে একটা খুঁতখুঁতে অনুভূতি তৈরি করছে। অন্যদিকে ১৯৮৫ সালের পর কংগ্রেস এবারের নির্বাচনেই সর্বোচ্চসংখ্যক আসনে বিজয়ী হওয়ার ঘটনাকে দলটি ‘নৈতিক বিজয়’ বলে দাবি করছে।

গুজরাটের ভোটের রায় থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর জনগণের আস্থা কমেছে- রাহুল গান্ধীর এমন দাবি তোলায় অনন্ত কুমার বলেন, বিরোধী দল যত সব অপ্রয়োজনীয় আর অসার বক্তব্য দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা এখানে অযাচিত ও অপ্রাসঙ্গিক। প্রধানমন্ত্রী ২০১৯-এর জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলকে মাঠপর্যায়ে শক্তিশালী করার ডাক দেন বলে অনন্ত কুমার জানান।