ভারত সফরে আসছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড, জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে হবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: শ্রীঘ্রই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কোনও প্রতিনিধি হিসেবে এটি হবে ভারতের প্রথম সফর। তুলসী গ্যাবার্ড ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত আস্থাভাজন এবং ডেমোক্র্যাট দলের প্রাক্তন সদস্য। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবেও পরিচিত।
মোদীর সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তুলসী গ্যাবার্ডের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আন্তর্জাতিক মহলে সুবিদিত। মোদীর আমেরিকা সফরের সময় দু’জনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান যে, দুই নেতার মধ্যে সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সাইবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও মতবিনিময় হয়।
সন্ত্রাসবাদ দমন এবং গোয়েন্দা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, তুলসীর সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সাইবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে আলোচনা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ার খবর গোয়েন্দা দপ্তরকে উদ্বিগ্ন করেছে। একাধিক দাগি জঙ্গি জামিনে মুক্তি পেয়েছে, যা ভারতের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের গোয়েন্দা কর্তারা তুলসী গ্যাবার্ডকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কে অবহিত করবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। পাকিস্তানের প্রতি বাংলাদেশের বিশেষ মনোভাবও ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের লক্ষ্য পূরণের সফর
তুলসী গ্যাবার্ড এক্স হ্যান্ডেলে জানান, খুব শিগগিরই জাপান, থাইল্যান্ড, হনলুলু এবং ভারত সফরে আসছেন। তিনি আরও বলেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লক্ষ্য পূরণই তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
গোয়েন্দা সহযোগিতার নতুন দিগন্ত
তুলসী গ্যাবার্ডের এই সফরকে কেন্দ্র করে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের আরও দৃঢ় হওয়ার আশা করা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দুই দেশের যৌথ প্রয়াস ভবিষ্যতে বৈশ্বিক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আলোচনা শেষে এই সফর নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। তবে গোয়েন্দা সহযোগিতার মাধ্যমে ভারত-মার্কিন কৌশলগত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।