Monday, May 19, 2025
Latestআন্তর্জাতিক

আমেরিকা সফরে নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক-গাজা-ইরান নিয়ে আলোচনা করবেন

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এশিয়া, ইউরোপ কিংবা দক্ষিণ আমেরিকা— কোথাও রেহাই নেই। এমনকি আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইজরায়েলও বাদ যায়নি এই ‘শুল্কের কোপ’ থেকে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার জন্য মুখিয়ে থাকলেও, বন্ধু রাষ্ট্র ইজরায়েল সেই দৌড়ে সকলকে টপকে আগে পৌঁছে গেল ওয়াশিংটনে।

সোমবারই মার্কিন মুলুকে পা রেখেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর সফরের মূল লক্ষ্য— প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।

হোয়াইট হাউস সূত্রে ইঙ্গিত, এই বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে তিনটি প্রধান ইস্যু— শুল্কনীতি, ইরান সংকট এবং গাজা উপত্যকা। তবে নেতানিয়াহু নিজে যা জানিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তাঁর অগ্রাধিকার শুল্ক বিষয়ক আলোচনা।

বৈঠকের প্রাক্কালে নেতানিয়াহু বলেন, “ইসরায়েলি পণ্য আমদানিতে আরোপিত শুল্কসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা হবে। আমি প্রথম আন্তর্জাতিক ও বিদেশি নেতা হিসেবে এ বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলছি। এটি ইসরায়েলের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।”

নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, এই বৈঠক আমাদের দুইজনের ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব এবং ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের এক অনন্য প্রতিফলন। বর্তমান বিশ্বরাজনীতির প্রেক্ষিতে এই সম্পর্ক বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”

বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহু আমেরিকার নতুন শুল্ক তালিকা থেকে ইজরায়েলকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ করবেন। কারণ, নতুন শুল্কের ফলে ইসরায়েলি প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানিতে বড় ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এই মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করছে মার্কিন সিদ্ধান্তের উপর। এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর এই সফর শুধু ইজরায়েল নয়, মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

চোখ এখন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠকের দিকে— বন্ধুত্ব না বাণিজ্যনীতি, কোনটি শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে, তা দেখার অপেক্ষা।