Saturday, April 20, 2024
আন্তর্জাতিক

নারী শিক্ষার পক্ষে সওয়াল, অধ্যাপককে প্রকাশ্যে মারধর করে গুম করে দিল তালিবান

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ক্ষমতা দখলের পরে দেশে নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে তালিবান। নারীদের বিরুদ্ধে একাধিক বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। আর নারী শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করায় কাবুলের এক অধ্যাপককে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করলো তালিবান পুলিশ।

অধ্যাপকের এক বন্ধু সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, তাঁর বন্ধুকে জনগণের সামনে বেধড়ক মারধর করে তালিবান সরকার। এরপর রাস্তা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে অসম্মানজনক ভাবে নিয়ে গেছে। কোথায় নিয়ে গিয়েছে তা জানা যায়নি। ওই অধ্যাপকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ওই অধ্যাপকের নাম ইসমাইল মাশাল। তিনি একাধিক আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিষয়ের লেকচারার। টিভি শোতে নারী শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করেন। গোটা বিশ্বে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপের মুখে পড়ে যায় তালিবান প্রশাসন। এরপরেই ওই অধ্যাপকের উপর অত্যাচার চালায় তালিবান সরকার।

ওই অধ্যাপকের পরিবার জানিয়েছে, নির্মম ভাবে মারধর করা হয়েছে অধ্যাপককে। এর পর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কোথায়, কোন জেলে তাঁকে রাখা হয়েছে তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে তালিবান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবদুল হক হামাদ টুইটে জানিয়েছেন, “মাশাল কিছুদিন ধরে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। তদন্তের খাতিরে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে আটক করেছে।”

উল্লেখ্য, তালিবান সরকারের নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে নিজের সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেন মাশাল। তিনি বলেছিলেন, “একজন সহনাগরিক এবং শিক্ষক হিসেবে আমি তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে এই সার্টিফিকেটগুলো অর্থহীন।” তাই টেলিভিশন শোতে সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ করেন তিনি।

মার্শালের সহায়ক ফাজিল বলেন, “কোনও অপরাধ করেননি, তবুও মাশালকে আটক করা হয়েছে। গত তিন দশক ধরে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার তিনি। ছেলেমেয়েদের বিনামূল্য বই বিলোতেন। সেই মানুষটা এখন বন্দি। কোন জেলে আটকে রাখা হয়েছে তাও জানা যায়নি।” – Alarabiya