মমতার ধর্না মঞ্চের সামনে রাস্তা অবরোধ করে চিটফান্ড ক্ষতিগ্রস্তদের বিক্ষোভ
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে ধর্না হলো, প্রত্যাহারও হলো। কিন্তু রাজ্য বনাম কেন্দ্রের বা মমতা বনাম সিবিআইয়ের ‘ধর্মযুদ্ধে’ চিটফান্ড ক্ষতিগ্রস্তদের প্রায় কোনও উল্লেখই করা হলো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার প্রতিবাদে ধর্না মঞ্চের সামনেই রাস্তায় বসে পড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করল অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
কার্যত মমতার ধর্না নিয়ে ব্যস্ত কলকাতা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েই বৌবাজার থেকে মিছিল করে কয়েকশো চিটফান্ড এজেন্ট ও আমানতকারি মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চের দিকে এগোতে থাকেন। ব্যাপার বুঝতে পেরে হকচকিয়ে যায় পুলিশ। অবশেষে নিউমার্কেট থানা থেকে একটু দূরেই পুলিশ মিছিলের পথ আটকে দেয়। পরে ধর্না মঞ্চে কর্তব্যরত বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। ধর্নার তৃতীয় দিনে বিক্ষোভ-মিছিল করার প্রস্তুতি নেন চিট ফান্ড আন্দোলনকারিরা। শোনা যাচ্ছে, এই মিছিল নিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে আগাম কোনও খবর ছিল না। পুলিশকর্তারা ব্যস্ত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না মঞ্চের নিরাপত্তা নিয়ে।
সংগঠনের সভাপতি রূপম চৌধুরী বলেন, পুলিশ সাধারণত অনুমতি দেয় না, এদিনও আমাদের মিছিলের কোনও অনুমতি ছিল না। আমরা বৌবাজারে ট্রাফিক সিগন্যালের কাছে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলাম। পুলিশকে ধোঁকা দিতেই এই পন্থা নিয়েছি। সিগন্যাল সবুজ হতেই মিছিল করে ধর্মতলার দিকে এগোতে থাকি। ওয়েলিংটন মোড় অবধি পুলিশের কোনও বাধা পাই নি। পুলিশ আমাদের নিউমার্কেট থানার কাছে আটকে দেয়। আমরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকি।
চিটফান্ড এজেন্ট ও আমানতকারিদের দাবি, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে টাকা ফেরত ও জুনিয়র এজেন্টদের নিরাপত্তা দিতে হবে। তাঁদের দাবি, গত সাড়ে পাঁচ বছরে ৩২১ জন চিটফান্ড কান্ডে আত্মহত্যা করেছেন। চারজন খুন হয়েছেন। দোষীদের গ্রেপ্তার এবং মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এই সংগঠন। রূপম চৌধুরী দাবি, মুখ্যমন্ত্রী অভিযুক্তদের আড়াল করতে ধর্না মঞ্চে বসেছেন। রূপমবাবু এদিন ঘোষণা দেন, ফের কলকাতার রাস্তায় বড় ধরনের আন্দোলনে নামবে তাঁদের সংগঠন।