করোনাকালে একাকীত্বের সুরাহায় ঋতাভরীর নয়া উদ্যোগ ‘হিল উইথ মি’
কলকাতা: অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর মানবিক রূপ আমরা আগেও দেখেছি। এবার করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষদের মনোকষ্ট, হতাশা তথা ডিপ্রেশন দূর করতে এগিয়ে আসলেন তিনি। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনাকালে লকডাউনের জেরে বাড়িতে থাকতে থাকতে অবসাদের নজির সারা পৃথিবীতে প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এদিকে, জিওকিউআইআইয়ের করা আরেকটি সমীক্ষায় দেখা যায়, করোনাকালে ৪৩ শতাংশ ভারতীয় এই সময় হতাশায় ডুবে রয়েছেন। ১০ হাজার ভারতীয় উপর এই সমীক্ষা করা হয়।
এই সমস্যা দূর করতে সোমবার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, তোমাদের সব রকম মনোকষ্টে, হতাশায়, মনের জোর হারানো একাকীত্বের সুরাহা করতে চাই। কথা বলো মনোবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সাথে। কোন খরচ দিতে হবে না। তার জন্য আমি আছি, আমার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত আর ‘সহায়তা’ আছে। কল করো: 18002039865 এই নম্বরে। মঙ্গলবার থেকে চালু হচ্ছে ‘হিল উইথ মি’ পরিষেবা। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ফোন করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সাথে আপনার সুখ দুঃখের কথা ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন।
এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী বলেন, একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। কারওই মন ভালো নেই। অনেকে প্রিয়জনকে হারিয়েছে। অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি জীবনযাপন করছেন। করোনার মধ্যে অনেকে কাছের মানুষের শেষকৃত্যে পর্যন্ত যেতে পারেনি। এগুলো মানুষের মনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
ঋতাভরীর বার্তা, আমরা একা নই। অনেকসময় বাড়ির মানুষদের সাথে মন খুলে কষ্টের কথা বলা যায় না। তখন অচেনা মানুষের সঙ্গে কথা বললে মন হালকা হয়। করোনার জেরে কত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। মনোবিদদের সঙ্গে কথা বলে স্বস্তি পেলে সেটাও বড় পাওনা।
ঋতাভরী বলেন, আপাতত আমাদের এই উদ্যোগের সঙ্গে বেশ কয়েকজন মনোবিদ যুক্ত আছেন। তবে বেশি মানুষ ফোন করলে মনোবিদদের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। অভিনেত্রীর আক্ষেপ, আমাদের দেশে মানুষ এখনও মনোরোগ নিয়ে কথা বলতে চায় না। তবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলাখুলি কথা বলে মানুষকে সচেতন করতে হবে। কঠিন এই পরিস্থিতিতে মানুষের মন থেকে মৃত্যুভয় দূর করতে হবে। লড়াইটা টা কারও একার না ভাবলে চলবে না! সকলকে সকলের পাশে এবং সাথে থাকতে হবে।