একটু বেশিই জোশ দেখেছি ঠাকুরনগরে: মোদী
দুর্গাপুর: মতুয়া মহাসঙ্ঘের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার ঠাকুরনগরে আসেন। এদিন তিনি দেখা করেন মতুয়া মহাসংঘের বড়মা বীণাপানি দেবীর সঙ্গে। বড়মার ঘরে ঢুকে প্রণাম করে আলাপচারিতা সারেন। তবে ঠাকুরনগরের জনসভা থমকে গিয়েছিল চরম বিশৃঙ্খলার জেরে। মাত্র ১৪ মিনিটেই শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। ঠাকুরনগরের সভায় ভিড়-হুড়োহুড়িতে বিশৃঙ্খলার জন্য দুর্গাপুরের সভা থেকে ক্ষমা প্রার্থনা চান প্রধানমন্ত্রী।
ঠাকুরনগরের সভা চলাকালীন হুড়োহুড়িতে প্রায় ৩৮ জন আহত হন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় মাত্র ১৪ মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন মোদী। ঠাকুরনগরের পরই প্রধানমন্ত্রী সভা করেন দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে। সেখানে ভিড় দেখে আপ্লুত হন তিনি। তুলে আনেন ঠাকুরনগরের প্রসঙ্গও।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঠাকুরনগরেও অভূতপূর্ব উৎসাহ দেখেছি। একটু বেশিই জোশ ছিল সেখানে। মা, বোন, দাদারা এসেছিল আশীর্বাদ করতে। কিন্তু, আমার মনে হয়েছে, ছোট মাঠে বেশি ভিড়েই বিপত্তি বাধে। সেই কারণেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। অনেকের চোট লেগেছে। আহতদের কাছে ক্ষমা চাইছি।
ঠাকুরনগরে জনসভায় পিছনের ভিড় সামনে ধাক্কা দেওয়ায় মানুষ ঢুকে পড়েন হাই সিকিউরিটি জোনে। পুলিশ ভিড় সামলানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। হুড়োহুড়িতে পড়ে যান অনেক মানুষ। অনেকেই আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা। এই ঘটনার পর ফোন করে জখম মহিলা ও শিশুদের খোঁজ খবর নেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগে মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। সেবার ছাউনি ভেঙে আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।