দেশে নেই এক সপ্তাহের খাবার, ইমরানের যুদ্ধের হুঙ্কারের সমালোচনায় পাক বুদ্ধিজীবীরা
ইসলামাবাদ: গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হানায় ঘটনার পর থেকে উত্তাল গোটা দেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একটাই আওয়াজ উঠছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পালটা যুদ্ধের হুঙ্কার ছিল পাকিস্তানের তরফ থেকেও। পাকিস্তানের হুমকিতে মোটেও ভয় পায় নি ভারত। কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয় নয়াদিল্লি। আর তাতেই চুপসে গিয়েছে পাক হুঙ্কারের ফানুস। দেশের বুদ্ধিজীবী মহল থেকেই দাবি উঠেছে, যে দেশে এক সপ্তাহের খাবার মজুত নেই সে দেশের আবার যুদ্ধের হুঙ্কার কিসের। বন্ধ হোক এই যুদ্ধের হুঁশিয়ারি।
এমনিতেই জীর্ণ পাকিস্তানের অর্থনীতি। সম্প্রতি কোষাগার ভরাতে গাধা রপ্তানি করে আয়ের ভাবনা ইসলামাবাদের। ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে পথে আনতে চিনকে গাধা রপ্তানির সিদ্ধান্তে এরই মধ্যে সবুজ সংকেত দিয়েছে ইমরান খানের সরকার। সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করায় আগেই মার্কিন অনুদান বন্ধ হয়েছে পাকিস্তানের। তাই গাধা, চুল ও গাড়ি বিক্রি করে আর্থিক ঘাটতি পূরণের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান।
পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের থেকে ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ বা MFN -এর মর্যাদা তুলে নিয়েছে ভারত। সহ্যের বাঁধ ভাঙায় যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জবাবে ইমরান খান বলেন, ভারত যুদ্ধ করলে তারা তৈরি।
ইমরানের যুদ্ধের হুঙ্কারের বিরুদ্ধে সরব পাকিস্থানের বুদ্ধিজীবীরা। তাদের যুক্তি, ইতিমধ্যেই দুধ, সবজি, খাবার জিনিষের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জ্বালানী মজুত রয়েছে মাত্র ছয় দিনের। সমরাস্ত্রেও ভারতের থেকে বহুঅংশে পিছিয়ে পাকিস্তান। তাহলে যুদ্ধ করে কী হবে। তাদের দাবি, এর থেকে দেশের উন্নয়নের কাজে নজর দিলে অনেক ভালো হয়।