পাকিস্তানের সিন্ধুতে হিংলাজ মাতার মন্দির ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ইউনেস্কো-স্বীকৃত শারদা পীঠ ধ্বংস
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: পাকিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের আরেকটি উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ হিন্দু উপাসনালয়গুলিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে জানা গেছে। সিন্ধু প্রদেশের হিংলাজ মাতা মন্দির আক্রমণ ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর এই দমন-পীড়নের ঘটনা ঘটেছে। সিন্ধু প্রদেশের থারপারকার জেলার কর্মকর্তারা মিথি শহরে সংখ্যালঘুদের মন্দির ধ্বংসের যাচাইয়ের জন্য আদালতের আদেশের উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
সিএনএন নিউজ -১৮ এর তথ্য থেকে আরো জানা যায় যে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে আরেকটি হিন্দু সাইট – শারদা পীঠ মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। মন্দির রক্ষার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আদেশ সত্ত্বেও এই পদক্ষেপটি নেয়া হয়েছে। শারদা মন্দিরের কাছে একটি কফি হাউস নির্মাণ করে এই বছরের নভেম্বরে উদ্বোধনের কথা রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়৷
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সূত্র স্বীকার করেছে যে হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই ধরনের নৃশংসতা পাকিস্তানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমিকে টার্গেট করে সহিংসতা, হত্যা এবং দখল সহ অবিরাম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে । এই ঘটনায় স্থানীয় সম্পৃক্ততা ও প্রায়ই সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পুনরাবৃত্তির ঘটনা ঘটেছে। এমনকি ইউনেস্কোর স্বীকৃত প্রাপ্ত শারদা পীঠও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। এই অঞ্চলে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার বিরোধিতা সত্বেও মন্দির ধ্বংস করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনাগুলি দেশে হিন্দুদের উপর চলমান নিপীড়নের কথা তুলে ধরা হয়েছে।