ট্যাডিশনল পোশাকে খালি পায়েই রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী নিলেন ‘বনের বিশ্বকোষ’ তুলসী গৌড়া
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: কর্ণাটকের ৭২ বছর বয়সী আদিবাসী তুলসী গৌড়াকে (Tulasi Gowda) পরিবেশ রক্ষায় অবদানের জন্য সোমবার পদ্মশ্রী (Padma Shri) সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। খালি পায়ে এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত অবস্থায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে ভারতের চতুর্থ-সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
কর্ণাটকের হালাক্কি আদিবাসী উপজাতির অন্তর্গত তুলসী গৌড়া। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারে বেড়ে ওঠেন তিনি। কোনও আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পাননি তিনি। ‘বনের বিশ্বকোষ’ বা ‘বনের এনসাইক্লোপিডিয়া (Encyclopedia of Forest)’ নামে পরিচিত তিনি। এটি বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ এবং ভেষজ সম্পর্কে তাঁর বিশাল জ্ঞান রয়েছে।
১২ বছর বয়স থেকে, তিনি হাজার হাজার গাছ লাগিয়েছেন এবং লালন-পালন করেছেন। তুলসী গৌড়াও অস্থায়ী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বন বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি প্রকৃতি সংরক্ষণে তাঁর জীবন উৎসর্গের জন্য স্বীকৃতি পান। পরে তাঁকে বিভাগে স্থায়ী চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি লক্ষাধিক গাছ লাগিয়েছেন।
৭২ বছর বয়সেও তুলসী গৌড়া গাছপালা লালন-পালন করে চলেছেন। পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব প্রচার করতে তরুণ প্রজন্মের সাথে তার বিশাল জ্ঞান ভাগ করে চলেছেন। সোমবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করেন।
ট্র্যাডিশনাল পোশাকে খালি পায়েই পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। পুরস্কার নিতে যাওয়ার সময় সামনে বসে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জোর হাত করে প্রণামও করেন তিনি। পরে টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘২০২০ এবং ২০২১ সালের পদ্মশ্রী পুরস্কার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য একদম সাধারন মানুষরা স্বীকৃতি পেয়েছেন। এটা দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। যারা পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তাদের সকলকে অভিনন্দন।’