Saturday, July 27, 2024
রাজ্য​

‘যা বলার পরে বলব’, শপথের পরই বেসুরো মুকুল রায়, জল্পনা তুঙ্গে

কলকাতা: একুশের নির্বাচনে বিজেপির কার্যত ভরাডুবি হয়েছে। ২৯২টি আসনের মধ্যে মাত্র ৭৭টি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপির সহ সভাপতি মুকুল রায় (Mukul Roy)।

কিন্তু এই জয়ও মুকুল রায়কে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। শুক্রবার প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায় মুকুল রায়কে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও তাঁর ‘অভিমান’ ধরা পড়ল। শপথের পরও চুপচাপ ছিলেন তিনি। তাঁর এই নীরবতা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে। জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়। শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক তৃণমূল ত্যাগীর নামে সমালোচনা করলেও মুকুল রায়কে নিয়ে নরম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীকে বলতে শোনা যায়, মুকুল অনেক ভালো শুভেন্দুর থেকে। এদের মতো ও এমন বিশ্বাসঘাতকতা করেনি।

এদিন মুকুল রায় বিধানসভায় ১২.০৪ মিনিট থেকে ১২.২৫ মিনিট পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। শপথের সময়টুকু বাদ দিয়ে বাকি সময়টুকু একেবারেই ‘নীরব’ ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁকে নানা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি আজ কিছু কথা বলব না। যেদিন বলার সেদিন সবাইকে ডেকে আমি বলব। মানুষের জীবনে এমন দু’একটা দিন আসে, যখন মানুষকে চুপ থাকতে হয়। এরপরই হাতজোড় করে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান তিনি।

মুকুলের এই ‘নীরবতা’ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপির অন্দরে ক্রমেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন মুকুল রায়। একুশের ভোটে তাঁর কৃষ্ণনগরের টিকিটও ‘আটকে’ রাখা হয়। ‘কোনঠাসা’ মুকুল রায় তাহলে এবার কি ‘নতুন’ ভাবনা ভাবছেন? ফের কি পুরনো দলে প্রত্যাবর্তন করবেন? সেই সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দিতে নারাজ রাজনৈতিক মহলের একাংশ।