‘তৃণমূলের জার্সি পরেই খেলতে নেমেছিলেন মেসি’, হাস্যকর দাবি মদন মিত্রের
কলকাতা: নেতা-মন্ত্রীদের বেফাঁস মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে আসার ঘটনা নতুন নয়। তবে এবার সবকিছুকে ছাপিয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। আর্জেন্টিনার জার্সির রঙ নীল-সাদার সঙ্গে তৃণমূলের নীল-সাদা রঙের তুলনা টানলেন তিনি। তাঁর দাবি, মেসি কিন্তু ব্লু অ্যান্ড হোয়াইটকে জনপ্রিয় করে দিলেন। আমার তো মনে হচ্ছিল, তৃণমূলের জার্সি পরে মাঠে খেলতে নেমেছেন মেসি।
মদন মিত্রের এহেন অদ্ভুত দাবির কথা শুনে হতবাক হয়েছেন ফুটবল প্রেমীরা। কেননা তৃণমূল দল গঠনের অনেক আগে থেকেই আর্জেন্টিনার জার্সির রঙ নীল-সাদা। আর্জেন্টিনার পতাকার রং অনুসারেই জার্সির রঙ নীল-সাদা। মদন মিত্রের এহেন দাবি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে কটাক্ষের বন্যা। তবে সে সবে পাত্তা দিতে নারাজ মদন মিত্র।
২০১১ সালের স্মৃতিতে ডুব দিয়ে মদন মিত্র বলেন, আর্জেন্টিনা জয়ের পর আমি নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছি। ভাবছিলাম, এই মানুষটার হাতেই আমি পুরস্কার তুলে দিয়েছিলাম। মদন মিত্রের অদ্ভুত এই আচরণে হতবাক কলকাতাবাসী। মদন মিত্রের উপর অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কিন্তু সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই মদনবাবুর।
মদন মিত্র বলেন, পেলে বা মারাদোনা নয়, তার দৃষ্টিতে মেসিই বিশ্বসেরা ফুটবলার। যাঁকে আমি সামনে দেখে দেখেছি। ওঁকে যেটুকু দেখেছি, তাতে আমার মনে হয়েছে, মেসি কিছুটা উদাসীন প্রকৃতির। খুব বেশি বিতর্কে ও থাকতে চান না। তিন থেকে চার ঘণ্টা যখন অনুশীলন করতেন, তখন ভুলেই যেতেন, আশেপাশে আর কেউ রয়েছেন। মেসি কিন্তু কলকাতায় নীল-সাদা ব্রিগেডকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন।
২০১১ সালে ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে কলকাতায় এসেছিলেন লিও মেসি এবং তাঁর দল আর্জেন্টিনা। ২ সেপ্টেম্বর ম্যাচটি যুবভারতীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ম্যাচে মেসিরা ১-০ গোলে জয় পান। মেসি গোল না করলেও আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন তিনিই। পুরো যুবভারতীর নজর ছিল তাঁর উপরে। সেই দিন থেকেই মদন মিত্র নাকি ফ্যান হয়ে যান মেসির।