অপহরণের পর পা ভেঙে, মাথা থেঁতলে ৯ শিশুকে ধর্ষণের পরে খুন, গ্রেপ্তার যুবক
নয়াদিল্লি: এক কিংবা দুই নয়, গুরুগ্রামে তিন বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্ত ২০ বছরের সুনীল কুমার খুন করেছে ৯ জন নাবালিকাকে। ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করার কথা নিজের মুখেই পুলিশের কাছে শিকার করেছে সে। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি থেকে অভিযুক্তকে ধরার পর জেরা শুরু করে পুলিশ। আর জেরা থেকে উঠে আসছে একের পর এক হাড়হিম করা তথ্য। যার বিবরণ শুনে হতবাক পুলিশ আধিকারিকরাও।
গুরুগ্রামের বস্তি এলাকায় বছর তিনের এক শিশুকে ধর্ষণ করে সুনীল। এরপর মাথা থেঁতলে, যৌনাঙ্গে লম্বা লাঠি ঢুকিয়ে আঘাত করে সে। আর এই অত্যাচারে প্রাণ হারায় শিশুটি। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি থেকে সুনীলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় সুনীল পুলিশকে জানায়, শিশু এবং নাবালিকাদের অপহরণের পর প্রথমে তাদের পা ভেঙে দিত সে। পরে ধর্ষণ করত। শেষমেশ প্রমাণ লোপাট করতে ধর্ষিতাকে খুন করত।
Man confesses to raping, killing at least nine children over two years: Police https://t.co/p7nG9s1ggu pic.twitter.com/4eRuAg4QiB
— The Wire (@thewire_in) 21 November 2018
তিন থেকে সাত বছরের প্রায় ৯টি শিশুকে এবং নাবালিকাকে এভাবেই ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করেছে সুনীল। পুলিশি জেরায় সেকথা স্বীকার করে নিয়েছে সে। এই ৯ জনের মধ্যে ৪জন দিল্লির, গুরুগ্রামের ৩জন এবং ঝাঁসির একজন এবং গোয়ালিয়র একজন রয়েছে। এদের কাউকে মিষ্টি তো কাউকে টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অপহরণ করেছিল পিশাচ সুনীল কুমার।
অভিযুক্ত সুনীলকে জেরা করে পুলিশ বাকি শিশু এবং নাবালিকাদের হদিশ পেতে চাইছে। জানা গেছে, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা সুনীল রাস্তাঘাট কিংবা পার্কে ঘুমাতো এবং নিজের যৌন লালসা চরিতার্থ করতে এই রকম ঘৃণ্য কাজ করত।