Saturday, May 4, 2024
রাজ্য​

কামদুনি গণধর্ষণ-হত্যা মামলায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট-রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ নির্যাতিতার পরিবার

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: শুক্রবার কামদুনি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাজা ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফাঁসির সাজা মকুব করেছে আদালত। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাসের রায় দেওয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতে আমৃত্যু জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্কর ১০ বছর জেল খাটায় খালাস পেয়েছেন। 

হাইকোর্টের রায়ে হতাশ কামদুনির পরিবার। তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে। কামদুনি প্রতিবাদীদের অন্যতম মুখ টুম্পা কয়াল ও মৌসুমি কয়ালরা বলছেন, “বিচার চাইতে সুপ্রিম কোর্টে যাবো। রাষ্ট্রপ্রতি এবং প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ হবো। গণধর্ষণে অভিযুক্ত সমস্ত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হোক৷”

কলকাতা হাইকোর্টে ৩ জনের ফাঁসির সাজা রদ করা হয়েছে। এছাড়া ২ জনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে ‘কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চ’।

এই রায় প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রতিবাদী পরিবার সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হবে। তাঁর আইনজীবীর ব্যবস্থা করবো আমরাই। প্রতিবাদী পরিবারকে সুরক্ষার দিতে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর বন্দোবস্ত করব।” 

সিপিএমের বক্তব্য, “কামদুনির রায় অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিচারের নামে প্রহসন হলো।” কংগ্রেস বলেছে, “রাজ্য সরকারের নেতাদের দুর্নীতি ঢাকতে বিপুল টাকা খরচ করা হয়। অথচ এই রাজ্যে নির্যাতিতা পরিবারের বিচার হয় না।”

তবে শাসকদল তৃণমূলের বক্তব্য, “সাজা কি হবে, তা হাইকোর্ট ঠিক করেছে। বিরোধী রাম, রাম ও কংগ্রেস একজোটে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে।”

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে রাগে-ক্ষোভে ফেঁটে পড়ে গোটা বাংলা।

এই মামলার প্রাথমিক তদন্ত করে রাজ্য পুলিশ। তারপরে এই মামলার দায়িত্ব পায় সিআইডি। চার্জশিটে ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন গোপাল নস্কর নামে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি কলকাতার নগর দায়রা আদালত (ব্যাঙ্কশাল কোর্ট) ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে। নিম্ন আদালতের সেই সাজাকে আজ কমিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।