নিমেষেই ধ্বংস শত্রুদের ক্ষেপণাস্ত্র, চর্চায় ইজরায়েলের আয়রন ডোম
জেরুজালেম: এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ইসরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত। চলছে হামলা-পাল্টা হামলা। ইসরায়েলের একাধিক শহর লক্ষ্য় করে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। তবে ইজরায়েলের আকাশে থাকা এক ‘অদৃশ্য় বলয়’ রুখে দিয়েছে সেই হামলাকে। হামাসের ছোঁড়া রকেট থেকে রক্ষা করছে ইজরায়েলকে। আয়রন ডোম সিস্টেম (Iron Dome system) বা লোহার গম্বুজের ব্যবস্থা রক্ষা করেছে ইজরায়েলকে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গাজা থেকে ইজরায়েলের দিকে উড়ে আসছে একের পর এক রকেট। তবে সেগুলি ইজরায়েলের মাটি ছোয়ার আগে আকাশেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আকাশে এক অদৃশ্য বলয়ে ধাক্কা খেয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে রকেটগুলি। অদ্ভূত এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নাম আয়রন ডোম সিস্টেম বলে জানা গিয়েছে।
From last night in #Israel. You see rockets being fired from #Gaza and intercepted by #IronDome. pic.twitter.com/QPF1ABnNnQ
— Arsen Ostrovsky (@Ostrov_A) May 13, 2021
আয়রন ডোম সিস্টেম মূলত একটি বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি স্বল্প দূরত্বের পাল্লার, মাটি থেকে আকাশ পর্যন্ত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এতে রাডারও রয়েছে। এটি যে কোনও রকেটকে ট্র্যাক করে সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা-মর্টার এমনকি বিমান-হেলিকপ্টার এবং যে কোনও ধরনের ড্রোনকে প্রতিহত করতে পারে এই আযরন ডোম।
খারাপ আবহাওয়া অথবা দিন হোক কিংবা রাত আয়রন ডোম সম্পূর্ণ কার্যকর। এতে তিনটি প্রধান সিস্টেম রয়েছে। একত্রিত হয়ে এটি একটি রক্ষাকবচে তৈরি করে। রাডার ধেয়ে আসা যে কোনও হামলাকে চিহ্নিত করে। এরপর উইপন কন্ট্রোল সিস্টেম এবং মিসাইল ফায়ারিং ইউনিট হামলা প্রতিহত করে।
আয়রন ডোম সিস্টেমের গোটা ইউনিটের খরচ ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৬৬ কোটি টাকা)। একটি তামির ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের খরচ অন্তত ৫৯ লাখ টাকা। ২০১১ সালে এটি ইজরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায়মোতায়েন করা হয়।