Tuesday, April 30, 2024
আন্তর্জাতিক

ইরানের ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করেছে ইসরায়েল; কিভাবে সম্ভব হলো এমনটা? হামলা ঠেকাতে খরচ কত হলো?

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ইরান ইসরায়েলে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে ইরানের ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করেছে ইসরায়েল। জানা গেছে, রাতভর ইরানের হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের খরচ হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ৩৫ লাখ ডলার, ডেভিডস স্লিংয়ের জন্য ১০ লাখ ডলার, এছাড়া জেট বিমানের জন্যেও খরচ হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট খরচ হয়েছে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

জানা গেছে, ইরানের তরফে সবমিলিয়ে ৩৩১ টির মতো ড্রোন ও মিসাইল হামলা করা হয়। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ৩২৪ মিসাইল এবং ড্রোনকে প্রতিহত করেছে তারা। শতাংশের হিসেবে ৯৯ শতাংশ মিসাইল এবং ড্রোনকে প্রতিহত করেছে আইডিএফ বা ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স।

আইডিএফ সূত্রে খবর, ইসরাইল ১৮৫টি কামিকাজে ড্রোনের মধ্যে সবকটিই প্রতিহত করেছে। ১১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১০৩টিকে প্রতিহত করেছে। ৩৬টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৩৬টিই ভূপাতিত করেছে। ইসরায়েলের ভূখণ্ডে মাত্র ৭টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে পেরেছে।

৩২৪টি মিসাইল ও ড্রোন হামলা রুখে দেওয়া মুখের কথা নয়! প্রশ্ন উঠছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় কী কী অস্ত্র রয়েছে? যা দিয়ে মিসাইল ও ড্রোন হামলাকে রুখে দিয়েছে? 

অ্যারো সিস্টেম ও ডেভিডস স্লিং আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি করেছে ইসরায়েল। এটি লং রেঞ্জ ব্যালাস্টিক মিসাইলকে প্রতিহত করে দিতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্র রুখে দিতে ওস্তাদ অ্যারো সিস্টেম। এটি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার অন্যতম অঙ্গ।

আয়রন ডোম শর্ট রেঞ্জ রকেটকে গুলি করে নামিয়ে আনতে পারে আয়রন ডোম। এখনও পর্যন্ত এর সাফল্য ৯০ শতাংশ বলে দাবি করা হয়। আয়রন বিম হল একটি লেজার প্রযুক্তি। যা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করে তুলেছে।

প্যাট্রিয়ট সিস্টেম স্কুড মিসাইল ধ্বংস করতে প্রাথমিকভাবে এটি ব্যবহার করা হত। এটি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দিক। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় প্যাট্রিয়ট সিস্টেম কার্যকরী করা হয়েছিল।