Tuesday, November 12, 2024
দেশ

গত ৬৫ বছরে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৭.৮২ শতাংশ, মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৩.১৫ শতাংশ

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মধ্যে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক উপদেষ্টা কাউন্সিল। তাতে বলা হয়েছে, মোট জনসংখ্যার নিরিখে গত ৬৫ বছরে ভারতে হিন্দু কমেছে প্রায় ৭.৮২ শতাংশ। অন্যদিকে, ওই সময়ে দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৩.১৫ শতাংশ।

‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুর অংশীদারিত্ব- আন্তঃদেশীয় বিশ্লেষণ’ (Share of Religious Minorities – A Cross-Country Analysis) নামক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যা বিচার করলে ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৭.৮২ শতাংশ। সেইসময়ে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৩.১৫ শতাংশ। খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং শিখদের জনসংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পার্সি এবং জৈনদের জনসংখ্যা কমেছে। 

রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৫০ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৮৪.৬৮ শতাংশ মানুষ হিন্দু ছিলেন। যা ২০১৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮.০৬ শতাংশে। আবার ১৯৫০ সালে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৯.৮৪ শতাংশ মুসলিম ছিল। সেটা ২০১৫ সালে বেড়ে ১৪.০৯ শতাংশে পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ ওই ৬৫ বছরে ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৫০ সালে দেশে ২.২৪ শতাংশ খ্রিস্টান জনসংখ্যা ছিল। যা এখন ২০১৫ সালে বেড়ে ২.৩৬ শতাংশে ঠেকেছে। অর্থাৎ ৬৫ বছরে খ্রিস্টানের সংখ্যা ৫.৩৮ শতাংশ বেড়েছে। আবার মোট জনসংখ্যার নিরিখে ১৯৫০ সালে যেখানে ১.২৪ শতাংশ শিখ ছিলেন, ২০১৫ সালে সেটাই বেড়ে হয়েছে ১.৮৫ শতাংশ। অর্থাৎ ওই সময়ের শিখদের জনসংখ্যা বেড়েছে ৬.৫৮ শতাংশ। 

এছাড়া ১৯৫০ সালে দেশের জনসংখ্যার ০.০৫ শতাংশ বৌদ্ধ ছিলেন, ২০১৫ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ০.৮১ শতাংশ। ১৯৫০ সালে ০.৪৫ শতাংশ জৈন ধর্মাবলম্বী মানুষ ছিলেন এবং ০.০৩ শতাংশ পার্সি মানুষ ছিলেন। যা ২০১৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ০.৩৬ শতাংশ জৈন এবং ০.০০৪ শতাংশ পার্সি।

এদিকে দেশের হিন্দু জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তার দাবি, কংগ্রেসের জন্যই দেশে হিন্দুদের অংশীদারিত্ব কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার নিরিখে ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ৭.৮ শতাংশ কমে গেছে। অন্যদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। দশকের পরে দশক ধরে কংগ্রেসের শাসনের ফলে এটাই হয়েছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ভারতে কোনও হিন্দু থাকবে না।’