Saturday, July 27, 2024
দেশ

রেশন চুরির দিন শেষ, দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় ‘শস্য এটিএম’ হরিয়ানায়

গুরুগ্রাম: করোনা মোকাবিলায় টানা লকডাউন চলেছে। যার জেরে কার্যত ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই দুবেলা-দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা করতে পারছেন না। তাই সরকারি রেশনই এখন শেষ ভরসা অনেকেরই। তবে রেশন কারচুপি থেকে শুরু থেকে নানা অভিযোগ রয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে এবার এগিয়ে এল হরিয়ানা সরকার। বায়োমেট্রিক স্বয়ংক্রিয় রেশন পদ্ধতি চালু করলো হরিয়ানা সরকার।

হরিয়ানার গুরুগ্রামে দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় ‘শস্য এটিএম’ (Grain ATM) বসানো হলো। এটিএমে আধার কার্ডের নম্বর বা রেশন কার্ডের নম্বর দিলেই পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন পেয়ে যাবেন। যার ফলে আপনাকে কষ্ট করে আর রেশনের দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। রেশন কার্ড না থাকলেও আপনি আধার কার্ডের মাধ্যমে তুলতে পারবেন রেশন।

যান্ত্রিক প্রক্রিয়া হওয়ায় রেশন প্রদানের জন্য সময় অনেকটাই বাঁচবে। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে রাজ্যের সমস্ত ‘শস্য এটিএম’-এর মাধ্যমেই দেওয়া হবে।

কিভাবে কাজ করছে ‘শস্য এটিএম’?

গ্রেন এটিএম মেশিনটি টাচ স্ক্রিনে রেশন উপভোক্তাকে আধার কার্ড বা রেশন কার্ড নম্বর প্রবেশ করাতে হবে। কার্ড নম্বর বসানোর পরে, রাজ্য সরকার বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেশিনের নীচে রাখা ব্যাগে ভরে যাবে।

দেখুন ভিডিওতে-

এই প্রকল্প চালু হওয়ায় মহাখুশি হারিয়ানাবাসী। আমজনতা মনে করছেন, গ্রেন এটিএম গোটা দেশে চালু হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা অনেকটাই কমবে। পাশাপাশি, কমে যাবে রেশন দুর্নীতি।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় রেশন উপভোক্তা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে রেশনের খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন। পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রের ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ নীতি কার্যকর করতে চাইনি। যার জন্য সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্তে দ্রুত ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প চালুর নির্দেশ দেয়।