Sunday, October 6, 2024
দেশ

ফের যৌথ সেনা মহড়ায় ভারত-চিন

নয়াদিল্লি: ডোকলাম সংঘাতের পর এই প্রথম ভারত এবং চিনের সেনা যৌথ মহড়া শুরু হতে চলেছে ১০ ডিসেম্বর থেকে। চিনের চেংডু শহরে ১২ দিন ধরে এই যৌথ মহড়া চলবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা তৈরি ও প্রয়োজনে যৌথ অভিযানের দক্ষতা বাড়ানোটাই এই যৌথ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই এই অভিযানের কেন্দ্রে থাকবে।

সম্প্রতি চিনে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দেওয়াও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বেজিং। এ ব্যাপারে ভারতকে যে তাঁরা পাশে চায়, সে কথা বিভিন্ন শীর্ষ মঞ্চে বারবার জানানো হয়েছে নয়াদিল্লিকে। ভারতও এই মুহূর্তে চিনকে যতটা সম্ভব নিজের অনুকূলে রেখেই চলেছে।

প্রসঙ্গত, ভারত-চিনের সেনারা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গরম বিবৃতি দিলেও এখনও পর্যন্ত কোনও হিংসাত্মক ঘটনার খবর সামনে আসে নি। উত্তেজনা সত্ত্বেও দুই দেশের বাহিনীই কিন্তু সংযম বজায় রেখেছে। ডোকলাম নিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে এসে ঠেকলেও ভারত-চিন সীমান্ত যে রকম নিশ্চুপ, সেটা পাকিস্তান আর ভারতের সীমান্তে দেখা যায় না। সেখানে নিয়মিত গুলি বিনিময় হয় দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে, মাঝে মাঝেই দুই দেশের সেনাসদস্যদের মৃত্যুও হয়। কিন্তু ভারত-চিন সীমান্তে বড়জোর দুই বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি হয় – তার বেশী কিছু না। তবে দুই দেশের সঙ্গে দুই সীমান্তে কেন দুই চিত্র?

ভারত আর চিনের মধ্যে একটা সমঝোতা আছে যে যতই মতভেদ হোক, সীমান্তে উত্তেজনা কোনও দেশই বাড়তে দেবে না। অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন চীনে এসেছিলেন, সেই সময়েই রাজনৈতিক প্রেক্ষিতটা তৈরি হয়েছিল। পরে মনমোহন সিংয়ের আমলেও সেই একই নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে এরকম সিদ্ধান্ত রয়েছে যে ফ্রন্ট লাইনে যেসব সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবেন, তাঁদের কাছে কোনও রকম অস্ত্র থাকবে না। যদি সেনা র‍্যাঙ্ক অনুযায়ী কোনও অফিসারের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা নিয়ম হয়, তাহলে তার নল মাটির দিকে ঘুরিয়ে রাখা থাকবে। সেজন্যই দুই দেশের সেনাসদস্যদের হাতাহাতি বা কুস্তি করার ভিডিও দেখা যায়, কোথাও গুলি বিনিময়ের ছবি দেখা যায় না। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের এরকম কোনও চুক্তি নেই।