Wednesday, April 23, 2025
Latestদেশ

মার্কিন দূতাবাসের কাছে ভারতে USAID-এর অর্থায়নের তথ্য চাইলো বিদেশমন্ত্রক

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতে ইউএসএইড (USAID) অর্থায়ন নিয়ে বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় সংসদে জানিয়েছে যে তারা মার্কিন দূতাবাসকে গত দশ বছরে ইউএসএইডের সহায়তায় পরিচালিত সমস্ত প্রকল্পের ব্যয়ের বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে বলেছে। এই পদক্ষেপ এসেছে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, যেখানে ইউএসএইডের তহবিল ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

ইউএসএইডের কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ

সিপিআই(এম) সাংসদ জন ব্রিটাস রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপন করলে বিদেশ মন্ত্রণালয় জানায় যে ইউএসএইডের তহবিলে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর তথ্যের জন্য মার্কিন দূতাবাসকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া ইউএসএইড-সমর্থিত প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত এনজিওগুলোর তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

মার্কিন প্রশাসন কিছু সুবিধাভোগী সম্পর্কে তথ্য আটকে রাখার কারণ হিসেবে আমেরিকান আইনের অধীনে ‘ব্যতিক্রমী সংশোধন’-এর কথা উল্লেখ করেছে। এই সংশোধনগুলোতে এমন তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা প্রকল্পের সুবিধাভোগী বা অংশীদারের সুরক্ষার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আরও বলা হয়েছে যে কিছু তথ্য প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

ভোটারদের উপর প্রভাবের অভিযোগ

বিতর্কের সূত্রপাত মূলত সেই প্রতিবেদন থেকে যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে, ইউএসএইডের তহবিল ভারতের নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ইউএসএইডের জন্য বাজেট কাটছাঁটের ঘোষণা করার পর, বিষয়টি সামনে আসে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন যে তার পূর্বসূরি জো বাইডেন ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য তহবিল বরাদ্দ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “এই অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।”

সরকারের অবস্থান ও তদন্তের অগ্রগতি

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন যে, সরকার বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে এবং প্রকৃত ঘটনা শীঘ্রই উদ্ঘাটিত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইউএসএইডকে ইতিবাচক কাজের জন্য ভারতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে কিছু ক্ষেত্রে খারাপ বিশ্বাসে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”