Saturday, July 27, 2024
আন্তর্জাতিক

সৌদিতে মেয়েরা পুরুষের ভোগের বস্তু, জানালেন ইসলামত্যাগী দুই বোন

হংকং: সৌদি আরবে নারীদের সঙ্গে দাসীর মত আচরণ করা হয়। সেখানে তাঁদের কোন স্বাধীনতা নেই। নারীরা সেখানে পুরুষদের ভোগের বস্তু। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন সৌদি থেকে পালানো দুই ইসলামত্যাগী বোন। ওই দুই বোন গত বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি থেকে পরিবারের সঙ্গে শ্রীলংকায় ছুটি কাটাতে যায়। সেসময় তাঁরা শ্রীলংকা থেকে হংকংয়ে পালিয়ে আসে এবং অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।

কিন্তু তার আগেই হংকং বিমানবন্দরে সৌদি প্রশাসনের দুই ব্যক্তি তাঁদের আটকে দেন, এবং তাঁদের জোর করে সৌদি আরবের ফ্লাইটে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে কোনোভাবে হংকংয়ে দর্শণার্থী হিসাবে ঢুকতে সক্ষম হন দুই বোন। হংকংয়ে তাঁরা নিরাপত্তার অভাবে লুকিয়ে বসবাস করছিলেন।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা সিএনএনকে ওই দুই তরুণী জানিয়েছে, তারা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন এবং তাদের সৌদিতে নিয়ে গেলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। ওই দুই সৌদি তরুণীর একজনের বয়স ২০ আরেক জনের বয়স ১৮। ওই দুই বোন জানিয়েছে, তাঁরা জন্মের পর থেকে ইসলাম ধর্মের কারণে নানা বাধার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করেছেন এবং শারীরিক ভাবে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সৌদিতে নারীদের কোন ভবিষ্যৎ নেই। সেকারণে তাঁরা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন।

তাঁদের পরিবার থেকে পালানোর কারণ হিসেবে দুই বোন জানিয়েছে, আমরা আমাদের পরিবারের কাছে অনেক ভালো মেয়ে হিসেবে ছিলাম। কেননা পরিবারের সব কথা আমাদের মেনে চলতে হতো। পরিবার যা বলত তাই করতাম।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব থেকে নারীদের বাড়ি ছেড়ে পালনোর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটিতে মহম্মদ বিন সলমন যুবরাজ হিসেবে ক্ষমতার গদিতে বসার পর থেকে নারীদের সৌদি থেকে পালানোর হার তুলনামূলক বেশি।

সৌদি আরবের অভিভাকত্ব আইন অনুযায়ী বাবার অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরেও যেতে পারে না মেয়েরা। বাবার আদেশ না মানলে যেতে হয় জেলে। এছাড়া সৌদি আরবে ধর্মত্যাগের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।