Friday, April 19, 2024
দেশ

ফের মুকুলের জলঘোলা উক্তি “আমি হিন্দু”,

কলকাতা, ১৬ সেপ্টেম্বর : পালে হাওয়া লাগলে তরী তো তরতরিয়ে চলবেই। বর্তমানে মোদীজীর অবস্থা ও তথইবচ। একের পর এক নেতা তার পালে বেশ হাওয়া দিয়ে যাচ্ছে। নিতীশ কুমারের পর হয়ত এবার মুকূলের পালা, এমনি আভাস দিচ্ছে কূটনৈতিক মহল। IPL এ ব্যাট না করলেও পাড়ার মাঠে সিদ্ধহস্ত মুকূল বরাবরই রাজনৈতিক মহলে ভালো ব্যাটিং এর প্রদর্শন দেখিয়েছে। আজ কি বললেন এই ব্যাটসম্যান, “ক্রিজ়ে থাকাটা জরুরি। ক্রিজ়ে থাকলে রান আসবেই। আউট হওয়া যাবে না। হিট উইকেট হওয়া চলবে না।” শুধু তাই নয় তিনি আজ নূতন যেটি বলেছেন তা অন্য ঘরানার । আজ তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুকুল বলেন, “আমি হিন্দু। তবে অন্য ধর্মের প্রতিও সম্মান আছে।”

তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বড় অংশের সন্দেহ, অমিত শাহকে তিনি কথা দিয়েছেন তৃণমূলের বেশ কিছু সাংসদ-বিধায়ককে নিয়েই তৃণমূল ছাড়বেন। তাই সাজানো হয়েছে রণকৌশল। তৃণমূলের এক শীর্ষনেতার কথায়, “শত্রু শিবিরে ভিড়ে বিভীষণ বিপদ বাড়িয়েছিল রাবণের। ঘরশত্রুকে পেয়ে সুবিধে হয়েছিল রামের। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, মুকুল রায় তৃণমূলেই থাকুন।”

দেশের ৮০% দখল করেও অমিত শাহর পাখির চোখ এখন বাংলা। মুকুলের সাহায্যই কি পুরন করতে পারবে তার বাংলা জয়ের স্বপ্ন। তাই অমিত শাহ নাকি ঘরেই দেখতে চান বিভীষণকে। কারণ, ঘরের দলে থেকে তৃণমূলের যতটা সর্বনাশ মুকুল করতে পারেন, ততই BJP-র লাভ। তাই ‘সারদা কালি’ সত্ত্বেও হয়তো যোগ্য সম্মান দিয়ে দলে নেওয়া হবে মুকুলকে। এমনিতেই দলের রাজ্য নেতারা নাকি চান না তাঁকে দলে নেওয়া হোক। যা শুনে মুকুল শিবিরের এক নেতা বলেন, “ওদের দলে এমন কেউ আছেন নাকি যে কোন জেলার ক’টা ব্লক আছে বলতে পারবে? এই সব নেতা নিয়ে নবান্ন দখল? কোনও চান্স নেই।” আর এটাই মুকুলের USP। তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন বাংলাকে। জানেন, বাংলার কোথায় কী। প্রতিটি ব্লকের সমীকরণ। তবে কি পঞ্চায়েত ভোটের আগেই? কথা বাড়াননি মুকুল ঘনিষ্ঠ ওই নেতা। শুধু বলেন, “দাদা কখন স্টেপ আউট করতে হয় জানেন। এখন ক্রিজ় আঁকড়ে পড়ে থাকাটাই কাজ।”