Saturday, July 27, 2024
দেশ

একনজরে দেখে নিন ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের ইতিহাস

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের ইতিহাস নতুন নয়। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনার জবাব দিতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

চিরবৈরী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। তবে এই দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বা উত্তেজনা এবারই প্রথম নয়। দেশ বিভাগের পর থেকেই এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে, যার বড় কারণ কাশ্মীর।

অক্টোবর ১৯৪৭: ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ হয় দেশবিভাগের মাত্র দুই মাসের মাথায়, যে যুদ্ধের কারণ ছিল কাশ্মীর।

আগস্ট ১৯৬৫: কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বড় ধরণের যুদ্ধ হয়।

ডিসেম্বর ১৯৭১: পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার যুদ্ধে সহায়তা করতে তত্‍কালীন পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ভারত। পাকিস্তানের ভেতরে বোমা নিক্ষেপ করে ভারতীয় বিমান বাহিনী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে যুদ্ধটি শেষ হয়।

১৯৮৯: ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে কাশ্মীর উপত্যকায় সশস্ত্র লড়াই শুরু হয়।

ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯: ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একটি বাসে করে পাকিস্তানের লাহোরে যান, যেখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তার একটি শান্তি চুক্তি হয়।

জুলাই ১৯৯৯: পাকিস্তানি সেনা এবং জঙ্গিরা কার্গিল পর্বতে ভারতের একটি সামরিক চৌকি দখল করে নেয়। ভারত বিমান এবং সেনা অভিযান শুরু করার পর দখলকারীরা পিছু হটে যায়।

মে ২০০১: ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর সঙ্গে ভারতের আগ্রায় মিলিত হন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ। তবে তারা কোন সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।

অক্টোবর ২০০১: শ্রীনগরে কাশ্মীর বিধানসভায় একটি ভয়াবহ হামলায় ৩৮জন নিহত হন।

১৩ ডিসেম্বর ২০০১: দিল্লিতে ভারতের সংসদ ভবনে সশস্ত্র হামলায় ১৪জন নিহত হয়।

ফেব্রুয়ারি ২০০৭: ভারত- পাকিস্তানের মধ্যে চলাচলকারী সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেনে বোমা হামলায় ৬৮জন নিহত হন।

২৬শে নভেম্বর ২০০৮: মুম্বাইয়ের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন, বিলাসবহুল একটি হোটেল এবং একটি ইহুদি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে চলা জঙ্গি হামলায় ১৬৬জন নিহত হন। ভারতের অভিযোগ, ওই হামলার পেছনে রয়েছে পাকিস্তানি গ্রুপ লস্কর-ই-তাইবা।

জানুয়ারি ২০১৬: পাঠানকোটে ভারতের বিমান ঘাটিতে চারদিন ধরে চলা হামলায় সাতজন ভারতীয় সেনা এবং ছয়জন জঙ্গি নিহত হয়।

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরি সেনা ঘাটিতে জঙ্গি হামলায় ১৯জন সেনা সদস্য নিহত হয়।

৩০শে সেপ্টেম্বর ২০১৬: ভারত পাকিস্তানের ওপর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালায়। যদিও এরকম কোন হামলার কথা নাকচ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ।

১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯: পুলওয়ামায় সামরিক কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৪০জন সেনা সদস্য নিহত। পাকিস্তান-ভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-এ-মহম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে।

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯: ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। খতম ৩৫০ জঙ্গি।