মুসলিম বাবা এবং খ্রিষ্টান মায়ের ছেলে রাহুল ব্রাহ্মণ হয় কী করে? প্রশ্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর হিন্দুত্ব নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কিছুদিন রাহুলের গোত্রও প্রকাশ্যে আসে। তা সত্বেও ফের কংগ্রেস সভাপতির হিন্দুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কর্ণাটকের বিজেপি নেতা অনন্ত কুমার হেগড়ে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বংশ পরিচয় নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, মুসলিম বাবা এবং খ্রিষ্টান মায়ের ছেলে হয়ে রাহুল গান্ধী ব্রাহ্মণ কী করে হয়?
#WATCH: Union Minister Ananth Hegde says on Rahul Gandhi, “They want proof of surgical strikes even when whole world acknowledged it. This Muslim who calls himself a ‘janeudhari Hindu’, son of a Muslim father & a Christian mother, does he have proof that he is a Hindu”? (10.3.19) pic.twitter.com/FWXFky5jXH
— ANI (@ANI) 11 March 2019
প্রসঙ্গত, ১৯১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ফিরোজ গান্ধীর জন্ম হয়। ফিরোজের পূর্ব পুরুষরা পারস্য থেকে ভারতে এসে বসবাস শুরু করে। তাঁরা ছিলেন পার্সি ধর্মের অনুসারী। ফিরোজ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির একজন নবীন সদস্য ছিলেন এবং এলাহাবাদে পার্টির কাজের সুবাদে ইন্দিরা নেহেরু এবং তাঁর মা কমলা নেহরুর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয় এবং নেহেরু পরিবারের খুব কাছের একজন হয়ে ওঠেন।
১৯৩৩ সালে তিনি ইন্দিরা নেহেরুকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ,তখন এটা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কমলা নেহেরু। ইন্দিরা নেহেরুর বয়স তখন মাত্র ১৬। ১৯৩৬ সালে কমলা নেহেরু মারা যান এবং ইন্দিরা তখন খুব একা হয়ে যান। পিতা জওহরলাল তাকে অক্সফোর্ডে পাঠান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার জন্য। সেই সময় ফিরোজ গান্ধী ও অক্সফোর্ডে পড়াশুনা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময়টাতেই ইন্দিরা এবং ফিরোজ খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে একে অপরের কাছে চলে আসেন।
সেই সময়েই ইন্দিরা তার পিতা জওহরলাল নেহেরু কে প্রায় ১০০ টা চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে একটা মাত্র বাক্য লেখা থাকতো। কি সেই বাক্য ? বাক্যটা হচ্ছে, “বাবা, আমি ফিরোজ কে ভালোবাসি”। হতভম্ব জওহরলাল কন্যার এই ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন। ১৯৪২ সালের মার্চে তারা দুইজন বিয়ে করেন। ফিরোজ গান্ধীকে বিয়ের পরই ইন্দিরা নেহেরু হয়ে যান ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরা এবং ফিরোজ দম্পতির দুইটি পুত্র সন্তানের সন্তানের জন্ম হয়। রাজিব গান্ধী ও সঞ্জয় গান্ধী।