হস্টেলের লিফটে ছাত্রীর সামনে প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন, কলেজ বলছে, ‘পোশাক দায়ি’
চেন্নাই: চেন্নাইয়ের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর সামনেই সাফাই কর্মীর হস্তমৈথুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। শুক্রবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত ২৬ বছরের অর্জুন নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে সাসপেন্ড করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বিকাল ৩ টা নাগাদ লিফটে উঠছিলেন তাঁর চারতলার হোস্টেলে। তাঁর সঙ্গে ওপরে উঠছিল এক সাফাইকর্মী। লিফটে ওই ছাত্রীর সামনেই হস্তমৈথুন শুরু করে দেয় ওই সাফাইকর্মী যুবক। লিফট থামিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী। কিন্তু তাঁর পথ আটকে দেয় অভিযুক্ত। শেষে চারতলায় লিফট দাঁড়ালে চিৎকার করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন ছাত্রী।
#SRMuniversity students stage a protest in #Chennai after a girl was sexually abused inside the campus elevator.
Read here: https://t.co/X607gdfRaE pic.twitter.com/wsyYAu1yAf— The New Indian Express (@NewIndianXpress) 22 November 2018
যৌন হেনস্তার শিকার ওই ছাত্রীর অভিযোগ, লিফটের সিসিটিভি ফুটেজে গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে। কিন্তু হস্টেলের ওয়ার্ডেন সেই ফুটেজ দিতে অনেক সময় নেয়। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ শুনতেও প্রায় ২ ঘণ্টা দেরি করে সে। এমনকি এই ঘটনার জন্য ওই ছাত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলে ওয়ার্ডেন। বলেন, ওই ছাত্রী সভ্য পোশাকে ছিলেন না। তাই এই ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর নাকি আরও বলেছেন, উত্তর ভারতের মেয়েদের সঙ্গে এটা হয়। কারণ এঁরা ছোট জামাকাপড় পরে, ধূমপান করে ও মদ্যপান করে।
এক পড়ুয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ আমাদের পোশাককে এই ঘটনার জন্য দায়ি করছে। তারা গুরুত্ব সহকারে আমাদের অভিযোগ নিচ্ছে না। অতীতেও, কলেজের অনেক পুরুষ কর্মী আমাদের ঘরে উঁকি মেরেছে। মণীশা নামে অন্য এক ছাত্রীর অভিযোগ, এর আগেও পুরুষ কর্মীরা ক্যাম্পাসের মধ্যে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে মেয়েদের দেখে হস্তমৈথুন করেছে। তখনও আমাদের অভিযোগগুলি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়নি। তখনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের পোশাককে নিয়ে দোষারোপ করে।