কাশ্মীরে অপহরণের দায় স্বীকার করল হিজবুল
শ্রীনগর: গত ৪০ ঘন্টায় দক্ষিণ কাশ্মীরের নানা জায়গা থেকে ১০ পুলিশকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের আত্মীয়দের ঘর থেকে তুলে নিয়ে গেছে জঙ্গিরা। অবশেষে এই ঘটনার দায় স্বীকার করল সালাউদ্দিনের সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন। এনআইএর হাতে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিনের ছেলেকে গ্রেফতারের পরেই এই কাজ করে জঙ্গিরা। তারা জানিয়েছে, চোখের বদলে চোখ নিতেই এই কাজ করেছে তারা।
সালাউদ্দিনের সংগঠন হিজবুলের প্রধান রিয়াজ নাইকু এই অপহরণের দায় স্বীকার করে বলেছে, পুলিশই আমাদের এ পথে যেতে বাধ্য করেছে। এখন থেকে চোখের বদলে চোখ, ঘরের বদলে ঘর, পরিবারের বদলে পরিবার-এই নীতিতেই চলব। কাউকে মাফ নয়। প্রাণের মায়া থাকলে চাকরি ছাড়ুন পুলিশকর্মী, নইলে মৃত্যুর জন্য তৈরি থাকুন।
এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, সোপিয়ানের ট্রেঞ্জ এলাকা থেকে এক ডিএসপির ভাগ্নেকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। গভীর রাতে আদনান আহমেদ শাহ নামে ২৬ বছরের যুবককে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। সোপিয়ানের ওয়াথু গ্রামে বাড়ি থেকে এক পুলিশ অফিসারের ছেলেকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। ইয়াসির ভাট নামে আরেকজনও অপহৃত হয়েছেন।
ওমর আবদুল্লা এই অপহরণের তীব্র নিন্দা করেছেন। ওমর ট্যুইট লেখেন, ১১টা অপহরণ! উপত্যকার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। পাশাপাশি যারা নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ির অভিযোগ তুলে মুখ খুললেও জঙ্গিদের হাতে অপহরণের ব্যাপারে চুপ করে থাকেন, তাঁদেরও সমালোচনা করেন তিনি।
11 abductions! This is a very worrying reflection of the situation in the valley. What’s worse is the selective outrage – people/leaders who are so vocal about alleged security force excesses are silent about these abductions. https://t.co/8ucs3PWpJc
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) 31 August 2018
মেহবুবা মুফতি বলেছেন, জঙ্গি বা নিরাপত্তাকর্মী, কারও পরিবারকেই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কষ্টের মধ্যে ফেলা উচিৎ নয়। সোপিয়ানে বুধবার চার পুলিশকর্মীর খুনের পর নিরাপত্তাবাহিনী কয়েকজন জঙ্গির বাড়ি ঢুকে হামলা, ভাঙচুর করে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে ব্যাপারে পিডিপি নেত্রীর ট্যুইট, সন্ত্রাসবাদী ও নিরাপত্তাকর্মীদের পরস্পরের পরিবারের ওপর চড়াও হওয়াটা খুবই নিন্দার। চলতি পরিস্থিতির আরও অবনতির লক্ষণ।
Militants and forces victimising each other’s families is highly condemnable and marks a new low in our situation.Families shouldn’t become casualties and made to suffer for something they have little control over.
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) 31 August 2018