Wednesday, April 23, 2025
Latestআন্তর্জাতিক

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত জেলবন্দী ইমরান খান

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: চলতি বছরে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুপারিশ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নরওয়ে নোবেল কমিটি তাঁর নাম মনোনীত করেছে। পাকিস্তানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানামুখী আলোচনা।

মনোনয়নের কারণ ও পটভূমি

‘পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স’ (পিডব্লুএ) নামক একটি মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নজরদারি সংস্থার সুপারিশে নরওয়ের রাজনৈতিক দল পার্টিয়েট সেন্ট্রামের পক্ষ থেকে ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। পার্টিয়েট সেন্ট্রামের এক্স পোস্টে জানানো হয়, ‘‘আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার অধিকার রয়েছে—এমন সংস্থার সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আমরা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তার কাজের জন্য মনোনীত করেছি।’’

ইমরান খানের অতীত নোবেল মনোনয়ন

এই প্রথমবার নয়, ২০১৯ সালেও দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রচেষ্টার জন্য ইমরান খান নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। সে বছর ফেব্রুয়ারিতে বালাকোট পরবর্তী সময়ে পাক সেনার হাতে আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাঁর শান্তি প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়। তাঁর এহেন সিদ্ধান্ত ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্কে স্বাভাবিকতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কারাবাস

২০২২ সালে পাকিস্তানে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। অর্থনৈতিক সংকট, দলীয় বিদ্রোহ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির চাপের মুখে তিনি ক্ষমতা ছাড়েন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে দুর্নীতি ও ‘গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য’ ফাঁসের মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁর সমর্থকদের দাবি, পাক সেনার একাংশ তাঁকে রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে ষড়যন্ত্র করেছে।

নোবেল শান্তি পুরস্কার: প্রত্যাবর্তনের নতুন সম্ভাবনা?

ইমরান খানের রাজনৈতিক জীবন নানা চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী। একসময় ক্রিকেট মাঠে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতানো এই নেতা রাজনীতির ময়দানেও লড়াই করে গেছেন। এবার তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন কি তাঁর রাজনীতিতে নতুন ইনিংস শুরু করার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে? তা সময়ই বলবে।