Saturday, April 20, 2024
সম্পাদকীয়

প্রাচীন মিশরীয় পিরামিডের ইতিহাস

প্রাচীন মিশরীয় শাসক বা রাজাদের ফারাও বলা হতো। প্রাচীন মিশর শাসন করতেন ফারাও রা। মিশরীয় রাজবংশের মানুষদের মৃত্যুর পরে বেঞ্চ-এর মত কাঠামোতে চিরশায়িত করা হত। তাদেরকে সমাধী দেয়ার জন্যই পিরামিড নির্মান করা হতো। মরুভুমির প্রান্তের পাহাড় থেকে পাথর কেটে পিরামিড নির্মান করতো। প্রাচীন মিশরীয়রা পরকালে বিশ্বাস করত যতদিন রাজাদের দেহ নষ্ট হবে না ততদিন তারা স্বর্গে বাস করতে পারবে। তাই রাজা ও রাণীদের মৃত্যুর পর মৃতদেহের সাথে সাথে দিয়ে দেওয়া হত মূল্যবান সামগ্রী। এমনকি পরকালে তাদের দেখাশুনা করার জন্যে দাস দাসীদের হত্যা করে তাদের সাথে দেওয়া হতো। রাজা ও রাণীদের দেহকে সংরক্ষণ করা হত মমি বানিয়ে।

পিরামিড নির্মাণরত শ্রমিক

২০০৮ সাল পর্যন্ত মিশরে ১৩৮ টি পিরামিড আবিষ্কৃত হয়েছে। সবচেয়ে পুরনো পিরামিডটি হল তৃতীয় রাজবংশের রাজত্বকালে নির্মিত জোসারের পিরামিড (নির্মাণকাল আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ২৬৩০-২৬১১ অব্দ)। মিশরীয় পিরামিডগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত পিরামিডগুলি দেখা যায় কায়রো শহরের উপকণ্ঠে গিজায়। গিজায় অবস্থিত খুফুর পিরামিড মিশরীয় পিরামিডগুলির মধ্যে বৃহত্তম। প্রাচীন বিশ্বের সাতটি আশ্চর্য বস্তুর মধ্যে পরিগণিত স্থাপনাগুলির মধ্যে এটিই একমাত্র অদ্যাবধি বিদ্যমান।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া