জয়কে ফোন অধীরের, জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে
বহরমপুর: কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী কংগ্রেস ছেড়ে দিতে পারেন। একথা বহুদিন ধরেই বাংলার রাজনৈতিক মহলে চালু রয়েছে। দিন কয়েক আগে অধীরবাবুর কংগ্রেস ত্যাগ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিন রাজ্যে ভোটের ফল বেরনোর পর অধীরের কংগ্রেস ছাড়তে পারেন বলে ইঙ্গিত করেছিলেন তিনি। মুকুলের দাবি ছিল, অধীর চৌধুরী কিছুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে যাবেন না।
তাছাড়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদও চলে গিয়েছে। এছাড়া প্রকাশ্যে চলে এসেছে দলের একের পর এক অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা। এরই মাঝে বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। বুধবার রাতের দিকে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন অধীরবাবু। ফোন করে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন অধীর চৌধুরী। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে সমালোচনাও করেন অধীর। এমনই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা জয়।
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলার মানিকনগরে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বুধবার রাতে বহরমপুরে ঢুকতেই আমার কাছে একটা ফোন। যিনি ফোন করেছিলেন আমি তাঁর পরম ভক্ত। তিনি হচ্ছেন অধীর চৌধুরী। জয়ের কথা অনুযায়ী, হুগলী জেলার জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে হামলার ঘটনায় অধীরবাবু অত্যন্ত ব্যাথিত বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দিল্লিতে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার হুগলী জেলায় দলীয় সভা থেকে ফেরার পথে কালীতলায় কালো পতাকা হাতে একদল দুষ্কৃতি বিজেপি নেতা জয়ে বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ আটকায়। বাঁশ দিয়ে জয়ের গাড়ির পিছনের কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত হন জয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের তির ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হুগলির তৃণমূল তেলা সভাপতি তথা কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্তের প্ররোচনায় এই হামলা চলেছে বলে অভিযোগ বিজেপির।