ডলারের বিপরীতে সর্বনিম্নে চিনা মুদ্রার মান
বেইজিং: চিন-মার্কিন বাণিজ্য দ্বন্দ্বের ফলে চিনের ইউয়ান আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে যা গত এক দশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের মান আর কত নিচে নামবে তা বিনিয়োগকারীদের মনে প্রশ্ন তুলছে। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের পর এই পতনকে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন বলছে, ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের মান আর কত তলানিতে পৌঁছাবে তা বিনিয়োগকারীদের মনে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার এশিয়ার বাজারে এক ডলার ৬ দশমিক ৯৭ ইউয়ানে লেনদেন হতে দেখা যায়। ২০০৮ সালের মে মাসের পর যা সর্বোচ্চ পতনে।
China’s battered currency is trading at its lowest point since the global financial crisis https://t.co/K5r00rUtnr
— CNN (@CNN) 30 October 2018
সিএনএনের খবরে বলা হয়, গত জানুয়ারি থেকে প্রায় টানা কমেছে ইউয়ানের মান। চিন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ট্যাক্স আরোপের বাণিজ্য যুদ্ধ, মার্কিন সুদের বিষয়সহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে এ সময়ে ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের মান ৯ শতাংশের বেশি পড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হতে পারে। সোমবার এমন ইঙ্গিত আসার পরপরই ইউয়ানের আরও এক ধাপ পতন হয়। ব্লুমবার্গ নিউজ বিনিয়োগকারীদের সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, দুই দেশের প্রধানরা যদি খুব শিগগির বৈঠকে না বসে তবে হোয়াইট হাউজ ডিসেম্বরের মধ্যে চিনের পণ্যে আরও শুল্ক বসাতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে তাঁরা চিনের চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলোর কাছে আমেরিকান পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করছে। মুদ্রার বিনিময় হারে এখন ডলারের বিপরীতে ইউয়ান ৭- এর দিকে ছুটছে। যা বিনিয়োগকারীদের স্নায়ুচাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ট্রাম্পের নতুন হুমকি বিনিয়োগকারীদের আরও বিপদে ফেলে দিতে পারে।