SSC ভবনের বাইরে আন্দোলনকারীদের অনেকেই হয়তো অযোগ্য: ব্রাত্য বসু
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) ভবনের বাইরে রাতভর বিক্ষোভে সামিল হয়ে পড়লেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২২ এপ্রিল, সোমবার ‘যোগ্য-অযোগ্য’ তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল কমিশনের। কিন্তু নির্ধারিত দিন অতিক্রান্ত হলেও কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। ফলে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ভবনের সামনে রাতভর অবস্থান চালিয়ে গিয়েছেন বঞ্চিত শিক্ষকরা। মঙ্গলবার সকালেও বিক্ষোভ অব্যাহত।
বিক্ষোভকারীদের দাবি: যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন হোক অবিলম্বে
আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথকভাবে চিহ্নিত করতেই হবে। না হলে আন্দোলন চলবে। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা আইনত যাঁরা যোগ্য, তাঁদের চাকরি এবং বকেয়া বেতনের নিশ্চয়তা দিতে হবে। অথচ তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় সেই বিষয়টি এখনও অনিশ্চয়তার মুখে।
এসএসসির সাফাই: আইনি জটিলতা
এসএসসির তরফে জানানো হয়েছে, তালিকা প্রকাশে আইনি বাধা রয়েছে। যদিও আন্দোলনকারীদের মতে, আদালতের নির্দেশ মেনে তালিকা প্রকাশ করার দায়িত্ব কমিশনেরই, এবং তালিকা না দিলে তাঁরা নিজেদের অবস্থান থেকে সরবেন না।
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে বিতর্ক
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “যাঁরা বঞ্চিত শিক্ষক, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁদের বেতন পাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তাই এই আন্দোলনেরও কোনও মানে হয় না।” তাঁর আরও দাবি, আন্দোলনকারীদের অনেকেই হয়তো অযোগ্য। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “সুপ্রিম কোর্ট কোনও গাইডলাইন না দিলে আমরা কিছু বলতে পারি না।”
তিনি জানান, রাজ্য সরকার দ্রুত রিভিউ পিটিশনের পথে হাঁটছে এবং শীর্ষ আদালতের দিকনির্দেশের অপেক্ষা করছে। তবে আস্থা রাখা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজস্ব ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল থেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ না হওয়ায় সেই পুরো প্যানেল বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষিকা তাঁদের চাকরি হারান। সেই রায়ের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে দাবি উঠেছে যোগ্যদের পৃথক তালিকা প্রকাশের। তবে কমিশনের দেরিতে পদক্ষেপ এবং সরকারের অবস্থান আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢালছে।